শৈলকুপা প্রেসক্লাবের নামে টাকা আত্মসাৎকারী কে এই মলয় রঞ্জন বিশ্বাস? এ কথা এখন সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। সরকার যখন দুর্নীতি দমনে বদ্ধ পরিকর, সেখানে খোদ সাংবাদিকদের সংগঠন শৈলকুপা প্রেসক্লাবের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে শৈলকুপা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর উপসহকারী প্রকৌশলী মলয় রঞ্জন বিশ্বাস। তিনি ২০১৯ সালের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে ১৪ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নিকট থেকে প্রেসক্লাব ভবন নির্মানের নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, শৈলকুপা অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত মলয় রঞ্জন বিশ্বাস, ইতি পূর্বে শৈলকুপায় চার বছর কর্মরত ছিলেন একই প্রকল্পে, এরপর মাগুরা জেলার মোহম্মদপুর বদলি হন। সেখান থেকে আবার শৈলকুপায় ফিরে এসেছেন। দীর্ঘদিন একই উপজেলায় কর্মরত থাকার সুবাদে একটি দালাল চক্রের সাথে তার ব্যাপক সখ্যতা গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু শৈলকূপা প্রেসক্লাবের টাকা আত্মসাৎ ই নয়, নানারকম দুর্নীতি ও দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি শৈলকূপা পৌরসভায় আটক হওয়া ৮০ বস্তা ভিজিএফের চাউলের ট্যাগ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন এই মলয় রঞ্জন বিশ্বাস। ঈদুল আযহা উপলক্ষে দরিদ্রদের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্ধকৃত ভিজিএফের ৮০ বস্তা চাউল ঈদের আগে বন্টন না করে সেটা পৌর গোডাউনে ফেলে রাখা হয়। এখানে তার গাফিলতির সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। চাউল জব্দ হবার সময় সাংবাদিকদের এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার গাফিলতির কথা স্বীকার করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই মলয় ঠিকমত অফিস করেন না, ফলে সরকারি অনেক প্রকল্পের কাজ ঠিক মতো হয় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, মলয় রঞ্জন শৈলকুপা প্রেসক্লাবের নাম করে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এ ব্যাপারে মলয় রঞ্জন বিশ^াস সাংবাদিকদের জানান, টাকা তুলেছি তবে এখনো প্রেসক্লাবের কারো নিকট হস্তান্তর করতে পারিনি।
এ ব্যপারে শৈলকুপা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মরর্তা আবদুর রহমান জানান, এখন ইউএনও স্যারের সাথে আছি পরে কথা বলছি,পরে ফোন দিয়ে তাকে আর পাওয়া যায়নি।