সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পল্লী বাংলা স্কুল সংলগ্ন এলাকায় হুমায়ুন মাঝি (৪০) নামের এক গাছ ব্যবসায়ীকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের পর লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে গুরুত্বর আহত ওই গাছ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এর আগে ওইদিন দুপুরে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
হুমায়ুন একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত শফিক উদ্দিনের পুত্র। নির্যাতনের শিকার হুমায়ুনের স্ত্রী শিমু বেগম বলেন, পার্শ্ববর্তী গ্রামের হানিফ খানের গাছ কেনার জন্য সকাল ১০টার দিকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন তার স্বামী। বিকেলে খবর পান তার স্বামীকে মারধর করে আক্কেল আলীর বাড়ি সংলগ্ন একটি বাগানে গাছের সাথে অচেতন অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছে। এ সময় তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে খবর দেন। শিমু বেগমের অভিযোগ, আক্কেল আলীর স্বজনরা মিলে তার স্বামীকে গাছের সাথে শেকল দিয়ে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। পরে তার সাথে থাকা এক লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয়।
অপরদিকে খবর পেয়ে রায়পাশাপা-কড়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খোকন ও এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন। এয়ারপোর্ট থানার ওসি এম জাহিদ দিন আলম জানান, একটি বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে কড়াপুরের ওই এলাকায় যায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে গাছের সাথে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায়। পরে গাছ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওসি আরও জানান, নির্যাতনের শিকার ওই ব্যক্তি মামলা দায়ের করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।