শেরপুরের বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাতে খাসীর মাংসের বদলে ছাগী ও ভেড়ার মাংস সরবরাহ বন্ধে জেলা শহরের পৌর পশু জবাইখানায় অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোরে শহরের চাপাতলী পৌর আধুনিক জবাইখানায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অহনা জান্নাত, আরিফ ফয়সাল খান ও জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় সদর উপজেলার ভেটেনারি সার্জন ডা. ফজলুল হক ও শেরপুর পৌরসভার সেনেটারি ইন্সপেক্টর শাহজাদা খান তাদের সঙ্গে ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, জবাইখানার বাইরে পশু জবাই করে পরিবেশ দূষণ, অনুমোদনহীন ও কোন ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই লাইসেন্সবিহীন মাংস প্রস্তুকারীর (কসাই) মাধ্যমে পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুত করার অভিযোগে পশু জবাই ও মাংসের নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১ এর বিভিন্ন ধারায় জবাইখানার ইজারাদার আবদুস সাত্তারকে ২৫ হাজার টাকা এবং মাংস প্রস্তুকারীর (কসাই) লাইসেন্স না থাকায় তিনজনকে ৫ হাজার টাকা করে ও একজনকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত সম্পর্কে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আরিফ ফয়সাল খান বলেন, শেরপুর শহরের বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাতে খাসীর মাংসের বদলে ছাগী ও ভেড়ার মাংস সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া অপরিণত বয়সের ছাগী, ভেড়া ও গরু জবাই করে এসব মাংস শহর জুড়ে বিভিন্ন হাট বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। অনুমোদনহীন ও কোন ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই লাইসেন্সবিহীন মাংস প্রস্তুকারীর (কসাই) মাধ্যমে পশুর মাংস প্রস্তুত ও সরবরাহ করা হচ্ছে। এসব বন্ধে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এই অভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং পশু জবাই ও মাংসের নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী শেরপুর জেলায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।