রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বড়াল নদীর স্লুইচগেটের আটকা পড়া কচুরিপানার ভেতর থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথমে এ লাশের সংখ্যা চারটি বলা হলেও অপরটি ছিল গবাদিপশু। তাই সেটিকে আর উদ্ধার করা হয়নি। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা উদ্ধার কাজ শুরু করে চার ঘন্টা পর বিকেল ৩টার অভিযান শেষ করে।
ঘটনাস্থলে পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিট (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সদস্যরা গিয়ে মরদেহগুলোর সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বিকাল ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এদের পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ।
ঘটনার বিষয়ে রাজশাহীর চারঘাট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) সমিত কুমার কু-ু শুক্রবার সন্ধায় প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে মরদেহগুলো ভেসে আসার খবর পাই। মরদেহগুলো কচুরিপানার মধ্যে ঢেকে ছিল। ওপর থেকে যেগুলোর অংশবিশেষ দেখে মনে হচ্ছিল চারটি মরদেহ রয়েছে। কিন্তু উদ্ধার করতে গিয়ে তিনটি মরদেহ ও একটি মহিষ দেখা যায়। ওসি বলেন, মরদেহগুলো পুরুষের। মরদেহগুলোতে পচন ধরায় এখন পর্যন্ত সনাক্ত করা যায়নি।
এ ঘটনায় এসপি শহিদুল্লাহ বলেন, ‘মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করার জন্য মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত করা হবে। আর পরিচয় শনাক্তের লক্ষ্যে তাদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হবে। এ ছাড়া এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান রাজশাহী পুলিশ সুপার।’
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘নিহতদের বয়স ১৮ থেকে ৩০/৩৫ এর মধ্যে। এদের মধ্যে একজন সাদা লুঙ্গি পরিহিত ছিল, কোমর থেকে চাবিও পাওয়া গেছে, আরেকজনের বুকের ওপরে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ আশপাশের জেলায় বার্তা প্রেরণ করি। কিন্তু কোথাও থেকে নিখোঁজের খবর পাইনি। এরপরও ঘটনাটি গভীরভাবে তদন্তের জন্য পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি এবং পিবিআই কাজ শুরু করেছে।