চাটমোহর উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা বয়কট করেছেন সকল ইউপি চেয়ারম্যান। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে উন্নয়ন সন্বয় কমিটির সেপ্টেম্বর মাসের সভা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ আঃ হামিদ মাস্টারের সভাপতিত্বে শুরু হয়। সভার শুরুতেই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের পক্ষে ছাইকোলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম সরকারের গম ক্রয়ে দূর্নীতি,ধান কেনার জন্য লটারীর বিষয়ে চেয়ারম্যানদের সাথে আলোচনা না করা,সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর নির্মাণে স্বেচ্ছাচারিতা,ভূমি উন্নয়ন করের ১ ভাগ ইউনিয়ন পরিষদে না দেওয়া,এডিবির অর্থে ফার্নিচার নির্মাণে অনিয়ম,উন্নয়ন তহবিলের অর্থ বরাদ্দে অনিয়ম,৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচীর টাকা আত্মসাত,ইউপি চেয়ারম্যানদের অবমাননা করাসহ অন্যান্য বিষয় উপস্থাপন করেন। এই অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সভা বয়কট করেন। সভা বয়কট করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে চেয়ারম্যানবৃন্দ সাংবাদিকদের জানান,তাদের কোন কাজেই সম্পৃক্ত করা হচ্ছে না। ইউএনও ইচ্ছেমতো সবকিছু করছেন। সরকারের আশ্রায়ন প্রকল্পের তালিকা তিনিই করছেন,তিনিই ঘর নির্মাণ করছেন। চেয়ারম্যানরা কিছুই জানছেন না। সরকারিভাবে গম কেনার কথা বলা হলেও সেই গম কে কীভাবে গোডাউনে দিয়েছে,তা অনেকেই জানেন। কৃষক এক ছটাক গম দেয়নি। ধান ক্রয়ে লটারী করা হলেও চেয়ারম্যানরা তা জানেন না। চেয়ারম্যানরা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তোলেন। চেয়ারম্যানদের মধ্যে পার্শ্বডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী,মথুরাপুরের সরদার আজিজুল হক,হরিপুরের মকবুল হোসেন,ফৈলজানার হানিফ উদ্দিন,হান্ডিয়ালের জাকির েেহাসেন,নিমাইচড়ার কামরুজ্জামান খোকন,ছাইকোলার নজরুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার বলেন,সভা শুরু হওয়ার সাথে সাথে ছাইকোলা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন,অভিযোগ করেন। এরপর আমাকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে আকস্মিক সভা থেকে সকল চেয়ারম্যান বের হয়ে যান। আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেননি। তাদের কর্মকা-ে আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। তিনি বলেন,তাদের সকল দাবি বা অভিযোগের বিষয়ে জবাব দিতে আমি প্রস্তুত। ইউএনও বলেন,ইউনিয়ন পরিষদের ম্যানুয়েল অনুযায়ী সব কিছু হবে। যত বড় ক্ষমতাশালী চেয়ারম্যান হোক না কেন,কোন অন্যায় মেনে নেওয়া হবে না। তিনি বলেন,আমি সকল চেয়ারম্যানের সাথে সমন্বয় করার চেষ্টা করি। হঠাৎ তারা কেন সভা বয়কট করলো জানি না।
উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আঃ হামিদ মাস্টার বলেন,এটা তেমন কিছুই না। ইউএনও সাহেবের সাথে একটু ভুল বোঝাবুঝি। তাঁর উপর চেয়ারম্যানদের যে কোন কারণেই রাগ হয়েছে। আমি আশা করছি কালকে (বৃহস্পতিবার) চেয়ারম্যানদের সাথে বসে বিষয়টির সমন্বয় করে দেবো।