পাবনার চাটমোহর উপজেলার কাটেঙ্গা-বরদানগর নৌ-ঘাটে একটি সেতুর অভাবে ১৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছে খেয়া নৌকায়। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর এক পাড় থেকে অপর পাড়ে যেতে নানা দূর্ভোগের শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। শুধু সাধারণ মানুষই নয়,সেতু না থাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় নদী পাড় হতে হয়। উপজেলার গুমানী নদীর কাটেঙ্গা-বরদানগর ঘাটে একটি সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,নদীর পূর্বপাশে রয়েছে,বিলচলন দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়,বরদানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,বরদানগর আব্বাসিয়া দাখিল মাদ্রাসা,একটি বাজার। পশ্চিম পাড়ে রয়েছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক,একটি হাইস্কুল,দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয়,হাটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিলচলন দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান জানান,বর্ষা মৌসুমে তাদের বেশী দূর্ভোগ পোহাতে হয়। নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে বরদানগর,বিন্যাবাগী,লাঙ্গলমোড়া,চরনবীন,বনমালীনগর,চিনাভাতকুর,বগরমপুর,তরিমপুর,গৌরনগরসহ অন্ততঃ ১৫টি গ্রামের মানুষকে উপজেলা সদরে যেতে খেয়া নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আঃ মান্নান মাস্টার জানালেন,গ্রামগুলোর সব রাস্তাই কাঁচা। একটিু বৃষ্টি হলেই রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। ফলে চলাচল দুরুহ হয়ে যায়। রোগিদের হাসপাতালে নিতে গিয়ে আরো দূর্ভোগে পড়তে হয়। বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসল হাট-বাজারে নিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন। এলাকাবাসী এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন। কিন্তু কোন অগ্রগতি নেই।
এ ব্যাপারে নিমাইচড়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কামরুজ্জামান খোকন বলেন,ইতোমধ্যে সেখানে সেতু নির্মাণের অনুমোদন হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
চাটমোগর উপজেলা প্রকৌশলী রাজু আহমেদ জানান,সেতুটির নকশার কাজ চলছে। সেটি অনুমোদন হলেই দরপত্র শেষে সেতুর কাজ শুরু হবে।