চলতি মওসুমে রংপুর জেলায় এ পর্যন্ত সাড়ে ২৪ হাজার মেট্রিকটন বোরো চা’ল এবং সোয়া ১০ হাজার মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ হয়েছে।
জেলা খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মওসুমে রংপুরের ৮ উপজেলায় ৯ টি ক্রয় কেন্দ্রের ১৭ টি অটেমেটিক এবং ৮৭৭ টি হাসকিং মিল সহ মোট ৮৯৪ জন চুক্তিবদ্ধ মিলারের মাধ্যমে ২৫ হাজার ১৫৪ মেট্রিকটন বোরো চা’ল এবং দুই পর্যায়ে ১০ হাজার ৬৫৯ মেট্রিকটন বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে গত ১২ ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রংপুরের ৮ উপজেলায় ৯ টি ক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে ২৫ হাজার মেট্রিক টন বোরো চা’ল এবং সোয়া ১০ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর মধ্যে রংপুর সদর উপজেলায় ১৫৯ জন চুক্তিবদ্ধ মিলারের মাধ্যমে ৪ হাজার ৬৮৪ মেট্রিকটন বোরো চা’ল এবং দুই পর্যায়ে ১ হাজার ২৭৯ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। বদরগঞ্জ উপজেলায় ৫১ জন চুক্তিবদ্ধ মিলারের মাধ্যমে ২ হাজার ৭৪ মেট্রিকটন বোরো চা’ল এবং দুই পর্যায়ে ১ হাজার ৩৯৪ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। মিঠাপুকুর উপজেলায় ১৫৫ জন চুক্তিবদ্ধ মিলারের মাধ্যমে ৪ হাজার ৮১৩ মেট্রিকটন বোরো চা’ল এবং দুই পর্যায়ে ২ হাজার ৭৬৮ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৩৬ জন চুক্তিবদ্ধ মিলারের মাধ্যমে ৪ হাজার ৩০৭ মেট্রিকটন বোরো চা’ল এবং দুই পর্যায়ে ১ হাজার ১৫৩ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী ক্রয়কেন্দ্রে ৭২ জন চুক্তিবদ্ধ মিলারের মাধ্যমে ১ হাজার ৮৫ মেট্রিকটন বোরো চা’ল এবং দুই পর্যায়ে ৬৯০ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। তারাগঞ্জ উপজেলায় ২৩ জন চুক্তিবদ্ধ মিলারের মাধ্যমে ২ হাজার ৩৪৯ মেট্রিকটন বোরো চা’ল এবং দুই পর্যায়ে ৬৫৩ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। গঙ্গাচড়া উপজেলায় ৬১ জন চুক্তিবদ্ধ মিলারের মাধ্যমে ১ হাজার ২৯৪ মেট্রিকটন বোরো চা’ল এবং দুই পর্যায়ে ৯১৪ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। কাউনিয়া উপজেলায় ১০৪ জন চুক্তিবদ্ধ মিলারের মাধ্যমে ১ হাজার ৯০৪ মেট্রিকটন বোরো চা’ল এবং দুই পর্যায়ে ৬২১ মেট্রিকটন বোরো ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। এবং পীরগাছা উপজেলায় ১৩৩ জন চুক্তিবদ্ধ মিলারের মাধ্যমে ২ হাজার ১৫৩ মেট্রিকটন বোরো চা’ল এবং দুই পর্যায়ে ১ হাজার ১৮৭ মেট্রিকটন বোরোধান সংগ্রহ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আবদুল কাদের জানান, জেলার ৯ টি খাদ্য ক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে এ পর্যন্ত খাদ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৯৮ ভাগ চা’ল এবং ৯৬ ভাগ বোরোধান সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৫ ই সেপ্টেম্বর এই সংগ্রহের মেয়াদ পর্যন্ত তা পুরন হবে বলে তিনি আশা করছেন।