গ্রামীন ফোনের নেটওয়ার্ক নিয়ে টেলিভিশন চ্যানেল,পত্রিকাসহ চটকদার সুবিধার পেতে বিজ্ঞান প্রচার করা হয়। কিন্তু সমস্যা ও দূর্ভোগের কথা বলা হয় না। কোনো কোনো স্থানে গ্রামীন ফোনে নেটওয়ার্ক নিয়ে ভোগান্তি মানুষ থাকলেও কোথায় গেলে এ সমস্যার উত্তরণ মিলবে তা খুঁজে পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে কাস্টমার কেয়ারে ফোন দেওয়া অথবা সাংবাদিকদের কাছে সমস্যার চিত্র তুলে ধরতে অনুরোধ জানায় ভুক্তভোগীরা।
গ্রামীন ফোনের নেটওয়ার্ক নিয়ে এমনই এক সমস্যায় ভুগছেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুরসহ আশেপাশের প্রায় ১০/১২ গ্রামের মানুষ। ভুক্তভোগীরা গ্রামীন ফোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে,উপজেলার রামচন্দ্রপুর,জালেশ্বর, পাইকপাড়া, নতুনপাড়া, গুনাইগাছা, পৈলানপুর, শিবাখালী পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গুড়া উপজেলার গজারমারা, দহপাড়া, মল্লিকচক, মন্ডতোষ বোয়াইলমারীসহ আশেপাশের প্রায় ২০ হাজার মানুষ গ্রামীন ফোনের সিমকার্ড ব্যবহার করে। রামন্দ্রপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান,ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক, মাসুদ রানা ও জালেশ্বর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল আজিজ বলেন, এ এলাকায় গ্রামীন ফোনের জন্মলগ্ন থেকেই জিপি নেটওয়ার্কের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। দিনরাত ২৪ ঘন্টাই সঠিকভাবে কথা বলা যায় না। নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। একটি নম্বরে কথা বলা শুরু করলে কথা শেষ না হতেই ২/৩ বার লাইন কেটে যায়। তাছাড়া বাইরের অন্য জায়গা থেকে কথা বলতে চাইলে অত্র এলাকার কোন জিপি নম্বরে বার বার চেষ্টা করেও সঠিকভাবে সংযোগ পাওয়া যায় না।
সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, নেটওয়ার্ক সমস্যা নিয়ে গ্রামীন ফোনের হেড অফিসে ১২১ নম্বরে কল করে সরাসরি ২৫ অপশনে গিয়ে নেটওয়ার্ক সমস্যা সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে কিন্তু কোনো রেজাল্ট আসেনি। এতে প্রতি মানুষ ক্ষুদ্ধ। ভুক্তভোগীরা এর প্রতিকার দাবি করেছেন।
অভিযোগ আরো উল্লেখ রয়েছে, গ্রামীনফোন কাষ্টমার কেয়ার ও পাবনা জেলা এরিয়া অফিসে এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে অফিসের কর্মকর্তারা নেটওয়ার্ক এর বিষয়টি সম্পূর্ণ হেড অফিসের ব্যাপার বলে জানান। তাছাড়া চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার দায়িত্বরত সিনিয়র এরিয়া টেরিটরি ম্যানেজার এর সাথে যোগাযোগ করলে লাভ হয়নি। তাই ভুক্তভোগীরা গ্রামীন ফোনের নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।