কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের মজলিশপুর পুরান মাছ মহলে গত শুক্রবার বিকাল ৫ টায় (১৩ সেপ্টেম্বর) জমি সংক্রান্ত জেরে, মজনু মিয়া ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে প্রায় শহ¯্রাধিক ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এই প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, নিকলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ এম.এ ইসহাক ভূইয়া। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, মজনু মিয়া ও তার গংরা গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে মজলিশপুর বাজারে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নিরীহ দুলাল মিয়া, সেলিম মিয়া, ইকবাল মিয়া ও ইসলাম উদ্দিনকে গুরুতর আহত করেছে। এলাকার প্রভাবশালী একটি মহলের পায়তারায় ৪-৫ জন পাইপগান, ছুড়ি, লোহার রড, বল্লম, দা দিয়ে মজলিশপুর বাজারে মহরা দেয়। এসময়, তাদের অবৈধ অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম দুলাল ও সেলিমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনো, সেলিম ও দুলাল মৃত্যুর মুখে পাঞ্চা লড়ছে বলে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা উল্লেখ করেন। তারা আরো বলেন, আক্কাছ মিয়া গং ও মজনু মিয়া গংদের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ৪-৫ টি শালিস বৈঠক হয়। কিন্তু মজনু মিয়া গংরা গত ৬ সেপ্টেম্বর শালিস মিমাংসার পথে গেলেও শালিসানদের শালিসের রায়কে উপেক্ষা করে অবৈধ অস্ত্রের মহরা দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। প্রতিবাদ সমাবেশে ভুক্তভোগী আক্কাছ মিয়া বলেন, গত কয়েক বছর ধরে শালিস বৈঠক হলেও মজনু মিয়ার লোকজনের অত্যাচারে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। তিনি বলেন, এলাকার রফিক ভূইয়া নামের একজন লোক প্রধান মদদ দাতা। বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস ভূইয়া জনি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হানিফ প্রমুখ। উল্লেখ্য, এই বিষয়ে নিকলী থানায় আক্কাছ আলী মিয়া বাদী হয়ে জামান মিয়া, বিপ্লব মিয়া, কামরুল মিয়া, মজনু মিয়া, কায়েছ মিয়া, হোসেন মিয়া, মোহাম্মদ আলী সহ অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এই ঘটনায় বিপ্লব মিয়া (৪৫) নামে একজনকে গত দুই দিন আগে গ্রেফতার করার পর কোর্টে চালান দেয়।