ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে আঃ গফুর মৃধা ডাঙ্গী গ্রামের পদ্মা নদী পারে শনিবার বিকাল ৫টায় মৌসুমী নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতা সম্পন্ন হয়েছে। এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতাটি উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপুর ঘাটে অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব ঘোষনা থাকলেও স্থানীয় আলেম সমাজ তা বন্ধের জন্য গত শুক্রবার মনববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। ফলে পরের দিন শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইন শৃঙ্খরা রক্ষায় নৌকাবাইচ বন্ধের ঘোষনা দিয়ে মাইকিং করার পরও চার ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে গোপালপুর ঘাট থেকে মাত্র এক কি.মি. দক্ষিন দিক দুরত্বে সরিয়ে নিয়ে আঃ গফুর মৃধা ডাঙ্গী গ্রামের পদ্মা পারে নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতা সম্পন্ন করেন।
এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগীতায় উপস্থিত ছিলেন চরভদ্রাসন সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাদ খান, গাজীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলী, চরঝাউকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ হোসেন মৃধা ও চরহরিরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমির হোসেন খান। এ ছাড়া নৌকাবাইচে উপজেলা আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, বাংলা সংস্কৃতির আদি ঐতিহ্য নৌকাবাইচের খবর পেয়ে উপজেলা পদ্মা নদী পারে উৎসুক জনতা ও দর্শনার্থীর ঢল নেমেছিল। এ নৌকাবাইচে দূর দুরান্ত থেকে মোট ৯টি সাজানো (বাচারী ও ছিপ) নৌকা এসে প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়। বাইচে অংশগ্রহনকারী নৌকাগুলো হলো-উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের শালেপুর গ্রামের শেক লুৎফরের নৌকা, আঃ গফুর মৃধা ডাঙ্গী গ্রামের শওকত বেপারীর নৌকা, বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের সেলিম হোসেনের নৌকা, রাশেদ মোল্যার নৌকা, হাজীডাঙ্গী গ্রামের শাহীন খানের নৌকা, কামার ডাঙ্গী গ্রামের কার্তিক চন্দ্র বৈরাগীর নৌকা, পার্শ্ববতী সদরপুর উপজেলার জাকেরের ডাঙ্গী গ্রামের শেখ আদেলের নৌকা, ওই উপজেলার আকন ডাঙ্গী গ্রামের শেখ রবিউলের নৌকা।
এসব নৌকাগুলোকে তিনভাগে বিভক্ত করে তিন দফায় প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি প্রতিযোগী নৌকাকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারন পূর্বক পুরুস্কৃত করা হয়। এ নৌকাইচে চুড়ান্ত প্রতিযোগীতায় উপজেলার বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের শেখ রাশেদ মোল্যার নৌকা চ্যাম্পিয়ন হয়।