রাজশাহীর মোহনপুরে কলেজছাত্রী জরিনা খাতুন (২১) মারপিটসহ অমানুষিক নির্যাতনের পর জোর করে মুখে বিষ ঢেলে দেন প্রেমিক মাহাবুর রহমানসহ তার পরিবারের লোকজন। বৃহস্পতিবার রাতে কলেজছাত্রীর বাবা বদর উদ্দিন বাদি হয়ে প্রেমিক মাহাবুর রহমানসহ ৫জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই প্রেমিক মাহাবুর রহমানের মা মফেজান বেগমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার আসামিকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোহনপুর থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, এজারভুক্ত একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার হরিহরপুর গ্রামের বদর উদ্দিনের মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী গত বুধবার সকাল ৯ টার সময় কলেজে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে বিয়ের দাবিতে মাটিকাটা গ্রামে প্রেমিক মাহাবুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে অনশন করতে থাকেন। ওই সময় প্রেমিক মাহাবুর রহমান (২২) বাবা আবদুল মান্নান (৫০), মা মফেজান বেগম (৪৫), বোন শিউলী বেগম শিখা (২৫) ও দুলাভাই এনামুল হক (৩২) বাড়িতে ছিলেন। বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে কলেজছাত্রীকে প্রথমে প্রেমিক মাহাবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যরা মারপিটের পর অমানুষিক নির্যাতন করে জোর করে মুখে বিষ ঢেলে দেন। কলেজছাত্রী নিজেই বিষপান করেছেন বলে প্রচারণা করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। মৃত্যুর পর খবর পান কলেজছাত্রীর পরিবারের লোকজন। ঘটনার পর থেকে প্রেমিক মাহাবুর রহমান তার বাবা আবদুল মান্নান, বোন শিউলী বেগম শিখা, দুলাভাই পলাতক রয়েছেন।