রাজশাহীর তানোরে লীজ নিয়ে চাষকৃত পুকুরের পাহারাদারকে শ্বাষ রোধ করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ওই পাহারাদারের নাম রইস উদ্দিন অনু (৬০) তিনি মুন্ডুমালা পৌর এলাকার পাঁচন্দর গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিনের পুত্র। (আজ) গতকাল সোমবার সকালে খবর পেয়ে তানোর থানা পুলিশ পুকুর পাড় থেকে মাছ ধরার একটি জাল ও হাত-পাসহ কোমরে দড়ি দিয়ে বাধা অবস্তায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। অপর দিকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪জনকে থানায় নিয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই নইমুদ্দিন বাদি হয়ে তানোর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরন, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শি সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার কোচুয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের পুত্র জাইদুরসহ তার ওয়ালিশগনের কাছ থেকে কোচুয়া মৌজায় ১০বিঘার একটি পুকুর চলতি বছরের ১০ই মে ৩বছরের জন্য ৭লাখ ২০টাকায় লীজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছেন মুন্ডুমালা পৌর এলাকার মইনপুর আলীতলা গ্রামের ইলিয়াস আলীর পুত্র তরিকুল ইসলাম। তরিকুল তার চাষকৃত ওই পুকুর পাহারার জন্য মাসিক ৬হাজার টাকা বেতনে গত ১৬ই আগস্ট পাঁচন্দর গ্রামের ছমির উদ্দিনের পুত্র রইস উদ্দিনকে নিয়োগ দেন। পাহারাদার রইস উদ্দিন পুকুর পাড়ে একটি ভাউড় (ছোট কুড়ে ঘর) করে দিনে ও রাতে সেখানে অবস্থান করতেন। (আজ) সোমবার ভোরে এলাকাবাসী পুকুর পাড়ের ওই ভাউড়ের (ছোট ঘরে) নিহতের হাত-পা বাধা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। এ ব্যাপারে পুকুর লীজ নিয়ে চাষকরা তরিকুল ইসলাম বলেন, পুকুরটি আমার আগে চিনাশো গ্রামের মৃত লালচানের পুত্র জাহাঙ্গীর চাষ করছিলেন। আমি লীজ নিয়ে এই পুকুরে ১ কেজি থেকে ২ কেজি ওজনের কাতলা ও হাফ কেজি ওজনের রুই ও ২ থেকে ৩ কেজি ওজনের ব্রিগ্রেড মাছ ছেড়ে চাষ শুরু করেছি। এ ব্যাপারে তানোর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে, লাশ দেখে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে রাতের কোন এক সময়ে পাহারাদারকে দড়ি দিয়ে বেধে পরে শ্বাষ রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা জাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে।