বগুড়ার ধুনট মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যায়যায়দিন ও দৈনিক চাঁদনী বাজার পত্রিকার ধুনট প্রতিনিধি সাংবাদিক ইমরান হোসেন ইমনকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। শুধু তাই নয় তিনি ওই সাংবাদিকদের হুমকী দিয়ে রীতিমত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অশালীন ভাষায় মানহানীকর পোস্ট দিয়েছেন এক শ্রমিকলীগ নেতা।
এঘটনায় শনিবার বিকেলে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদিক ইমরান হোসেন ইমন বাদী হয়ে ধুনট পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি ফারাইজুল ইসলাম ইজুল সহ অজ্ঞাত ৪/৫জনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, চৌকিবাড়ী গ্রামের প্রাক্তন শিক্ষক মরহুম আমির হোসেন সরকারের ছেলে ইমরান হোসেন ইমন সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাব ঠিকাদারী ব্যবসা করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি ধুনট উপজেলা পরিষদের সরকারি মডেল মসজিদ নির্মানে বালু ভরাটের সাব ঠিকাদারের কাজ পান। গত ২১ আগস্ট থেকে সাংবাদিক ইমরান হোসেন ইমন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বালু সরবরাহ করতে থাকেন।
এঅবস্থায় গত ২৬ আগস্ট ধুনট পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি ফারাইজুল ইসলাম ইজুল ও অজ্ঞাত কয়েক ব্যক্তি মসজিদের বালু পরিবহনকারী ট্রাক থামিয়ে সাংবাদিক ইমনের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ফরাইজুল ইসলাম ইজুল সাংবাদিক ইমরান হোসেন ইমনকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। বিষয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনকে অবগত করলে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। শনিবার সকালে ফারাইজুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার ফেসবুক পেজে অশালীন মানহানীকর ভাষা লিখে সাংবাদিক ইমরান হোসেন ইমনকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
তবে এ বিষয়ে ফারাইজুল ইসলাম ইজুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইলফোন ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, ধনুট এলাকার বহুল বিতর্কিত শ্রমিকলীগের নেতা ফারাইজুল ইসলাম ইজুলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমিদখল, মারামারি, অপহরন, চুরি ও মাদক মামলা সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
ধুনট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি সার্বিক) ইসমাইল হোসেন বলেন, সাংবাদিকের কাছে চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকি সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানীকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কে ভূমিকা পুলিশ নিচ্ছে সে বিষয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর দেননি এই পুলিশের দায়িত্বশীল। এদিকে একজন সাংবাদিককে দেয়া শ্রমিকলীগ নেতা প্রকাশ্য হুমকীর বিষয়ে সর্বস্তরের সাংবাদিকদের মধ্য অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ঘটনার নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ট তদন্তে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিম প্রশাসনের প্রতি আহন জানানো হয়েছে।