দীর্ঘ ১৯ বছর পর দেওয়ানী ৭০/২০০০ মামলার রায়, বিবাদী পক্ষে এ্যাডঃ বিকাশ কুমার ঘোষ আইনি লড়াই চালিয়ে বিজয়ী হন শৈলকুপা আদালতের দেওয়ানী মামলা নং ৭০/২০০০ দীর্ঘ ১৯ বছর মামলা চলার পর লম্বা আইনি লড়াই চালিয়ে ২০১৯ সালে অবশেষে ২৬ আগস্ট রায় হলো মামলার প্রতীক্ষায় অবসান হলো বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ জনাব মোঃ তারিকুল ইসলাম মহোদ্বয়ের আদালতে এ মামলার রায় দিলেন। এ্যাডঃ বিকাশ কুমার ঘোষ আইনি যুদ্ধ চালিয়ে বিবাদী পক্ষ শামীমুল ইসলামকে জয়লাভ করান। এ মামলার বাদী পক্ষ ফরিদুল ইসলাম ভুন্ডুলে গং পরাজিত হন।হাটফাজিলপুরের রেজাউল ইসলাম গং অন্যায় ভাবে জমিজমার স্বত্ব পেতে ২০০০ সালে সহকারী জজ আদালতে তিনজনকে বিবাদী করে একটি দেওয়ানি মামলা করেন।
২০০০ সালের ২৯জুন মাসে মামলাটা করা হলো, এরপর ১৯ বছর ধরে মামলাটা চলল ২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট রায় হলো লড়াইটা ছিল জাহাজের সঙ্গে ডিঙ্গি নৌকার । আমার (বিবাদীর) প্রতিপক্ষ চরম ক্ষমতাশালী বিগত খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের একান্ত সহযোগী আর আমি ততই দুর্বল একজন অল্প বয়সী বালক বাদীপক্ষের আইনজীবি হলেন এ্যাডঃ মাসুদ কামাল আর অন্যদিকে বিবাদী পক্ষের আইনজীবি হলেন তরুন আইনজীবি এ্যাডঃ বিকাশ কুমার ঘোষ। এ্যাডঃ মাসুদ কামালকে আইনি যুদ্ধে পরাজিত করে এ্যাডঃ বিকাশ কুমার ঘোষ জয়লাভ করেন।দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে মামলা চালাতে গিয়ে বাদীপক্ষের দ্বারা বিবাদীদেরকে শারীরিক ভাবে, আর্থিক ভাবে, মানসিক ভাবে এবং সামাজিক ভাবে অনেক অত্যাচার,নির্যাতন,হামলা,মামলা ও লুটতরাজ এর সম্মূখিন হয়ে পর্যদুস্ত হতে হয়েছে।পদ্ধতিগত নানা জটিলতায় কালক্ষেপণ হওয়ায় দ্রুত নিষ্পত্তি হয় না দেওয়ানি মামলা।এ কারণে বিচার প্রার্থকে বছরের পর বছর ঘুরতে হয় আদালতের বারান্দায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ আদালতের তরুন আইনজীবী এ্যাডঃ বিকাশ কুমার ঘোষ বলেন, দেওয়ানি মামলার বিচার নিষ্পত্তি দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার,'নানা কারণে বিচার বিলম্বিত হয়। দেওয়ানি মামলা শুনানির জন্য প্রস্তুত করা কঠিন। এরপর সমন জারি ও নোটিশ জারি, শুনানির জন্য তালিকায় অপেক্ষমাণ থাকা, ইস্যু গঠনসহ নানা বিষয়ে কাজ শেষ করার মধ্যেই নতুন অনেক বিষয় চলে আসে। এর সঙ্গে রয়েছে প্রশাসনিক জটিলতা, আদালতের ছুটিসহ আরও অনেক কারণ।' তিনি আরও বলেন, দেওয়ানি মামলার সংখ্যা কমাতে হলে আদালত ও বিচারকের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। ঝিনাইদহে যে হারে মামলা দায়ের হয়, সে তুলনায় বিচারক কম।