নীলফামারীর সৈয়দপুরে পর্যায়ক্রমে চলছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন। ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে ১নং কামারপুকুর ইউনিয়ন ও ৪নং বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন। ওই ইউনিয়নের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলেও গত ২৮ আগস্ট ২নং কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন হয়েছে পন্ড। ওই নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী ও প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন নুরুজ্জামান নুরুল, নজরুল ইসলাম নজু ও শামসুল হক। মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ২শ’ ৫১ জন। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ৩ সদস্যের কমিটি। ওই কমিটির প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক এফাজ উদ্দিন সরকার, সদস্য সচিব ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কার্তিক চন্দ্র রায় ও সদস্য ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান পাটোয়ারী। নির্বাচনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী আসনের মহিলা এমপি রাবেয়া আলিম, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বাদলসহ অনেকে। ভোট শুরু হওয়ার কথা ছিলো বিকেল ৩টায় কিন্তু দলীয় রেশারেশীর কারণে ভোট শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৫টায়। ভোট শুরু হয়ে বেশ কিছু সময় অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলে। একপর্যায়ে প্রিজাইডিং অফিসারের আঙ্গুলে বোতল দিয়ে থেতলে দেয় একজন ভোটার। এতে শুরু হয়ে যায় নির্বাচনী বিশৃংখলা। পরে সভাপতি পদের একজনের এজেন্ট ব্যালট পেপার ছিনতাই করে। এ বিষয়গুলো সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে নির্বাচনী এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। এক পর্যায় ব্যালট পেপার, বাক্স উধাও হয়ে যায়। নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। ফলে পন্ড হয়ে যায় ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন। এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা সদস্য আবদুল মান্নান পাটোয়ারী। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বাদল বলেন, ভোটটি ছিলো আওয়ামী লীগের। আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। ওই নির্বাচনে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো উচিত হয়নি নেতাকর্মীদের। পরে নির্বাচনী বিশৃংখলা খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ এবং র্যাব সদস্যরা ছুটে যান।