নওগাঁর মান্দা উপজেলার নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে (৩৬) মারপিট করে টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে মাসিক সভা শেষে বাড়ি ফেরার সময় পরিষদের গেট সংলগ্ন রাস্তায় ইউপির ৮ সদস্যের হাতে মারপিটের শিকার হন তিনি। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, পরিষদের ৮ জন সদস্য চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা বিষয়ে গত ২২ আগস্ট নওগাঁ জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেন। গত শনিবার একই বিষয়ে জোতবাজার চৌরাস্তার মোড়ে মানববন্ধন করে ওইসব সদস্যরা। এরা হলেন, আবু বকর সিদ্দিক উজ্জল, খোরশেদ আলম শিলাল, মসলেম উদ্দিন, আহসান আলী আছের, তোফাজ্জল হোসেন তোফা, মৌসুমী বেগম, রাজু আহমেদ ও নুরুল ইসলাম।
এদিকে বুধবার পরিষদের নির্ধারিত মাসিক সভায় চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডল, সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, সাবিনা ইয়াসমিন, তারা বানু ও মোজাম্মেল হক উপস্থিত হলেও অন্য সদস্যরা সভায় যোগদান করেননি। সভা শেষে চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডল চলে যান। এর কিছু পরে সদস্য জাহাঙ্গীর আলম পরিষদ চত্বর থেকে মোটরসাইকেলসহ আল আমিন নামে এক যুবককে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি যাবার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তারা পরিষদের মুল গেট সংলগ্ন রাস্তায় পৌঁছা মাত্র আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা ইউপি সদস্য তোফাজ্জল হোসেন তোফা, আহসান আলী আছের, খোরশেদ আলম শিলাল, মসলেম উদ্দিনসহ অন্য সদস্যরা তার পথরোধ করে মারপিট শুরু করে।
আহত ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘মারপিট থেকে রক্ষা পেতে মোটরসাইকেল ফেলে আমি সচিবের কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নিই। সেখানেও তারা দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করার অভিযোগ তুলে ওইসব সদস্যরা আমার নিকট দুই লাখ টাকা দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। হামলার সময় তারা আমার জামা-প্যান্ট ছিড়ে হেনস্তা করাসহ ৫০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়।’
মান্দা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে অবরুদ্ধ ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেছেন। ঘটনায় এজাহার পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।