চলনবিল অধ্যুসিত জেলার বৃহৎ উপজেলা সিংড়া। ৫৩১ বর্গ কিলো মিটার আয়তনের এই উপজেলার প্রধান অর্থকরী ফসল বোরো ধান। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি ও ভালো দাম না থাকায় পাট চাষে ঝুঁকছেন সিংড়ার চলনবিলের কৃষকরা। চলতি বছরে পাটের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় পাট চাষের পরিধি বৃদ্ধি করছেন কৃষকরা। আর ইতোমধ্যে কৃষকরা ক্ষেত থেকে পাট কেটে পানিতে জাগ ও পাট ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে এ উপজেলায় ১ হাজার ৮শত হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। উপজেলার চামারী, কলম, হাতিয়ান্দহ, লালোর ও শেরকোল ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে পাট চাষে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। কারণ গত ২ বছর পর পর বন্যায় বোরো ধান ডুবে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় অল্প খরচে লাভজনক ফসল পাট চাষে আগ্রহ বেড়ে চলেছে।
কলম পুন্ডরী গ্রামের কৃষক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, গত দু’বছর ধরে বোরো ধান আবাদ করে বন্যায় ধান ডুবে যাওয়ায় চলনবিলের কৃষকদের লোকসান গুনতে হয়েছে। তাই অনেক চাষি এবছর ধানের বিকল্প হিসেবে পাটের আবাদ করেছেন। ফলন বিঘা প্রতি ১০মন। প্রতিমণ পাটের দাম দেড় হাজার ও তার বেশী দামে বিক্রয় হওয়ায় আর কোন লোকসানের ভয় নেই। তছাড়াও পাটখড়ি কৃষকদের গবাদি পশুর গোবর লাগিয়ে তা শুকিয়ে জ¦ালানী হিসেবে বিক্রয় হচ্ছে।
সিংড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। তাছাড়া পাট চাষ করার পর ওই একই জমিতে আবার রোপা আমন চাষ করতে পারছে কৃষক। কৃষি অফিস থেকে প্রতিনিয়তই কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছি।