ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেরার অধীনে কাষ্টভাঙ্গা গ্রামের দিন মজুর ইদ্রিস আলীর কন্যা সদ্য বিবাহিত গৃহবধু আয়শা খাতুন মিম (১৮) হত্যা মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মিমের স্বামী রঘুনাথপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর পুত্র এলখাস উদ্দীন তার সহযোগীদের নিয়ে স্ত্রী মিমকে গলা কেটে হত্যা করে কাষ্টভাঙ্গা গ্রামের মাঠের মধ্যে একটি লিচু বাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এর আগে ঘটনার দিন বিকেলে এখলাস উদ্দীন স্ত্রী মিমকে মোবাইল ফোনে বেড়াতে নিয়ে যাবার কথা বলে পিতৃগৃহ থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন ১৬ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে কাষ্টভাঙ্গা গ্রামের শফি উদ্দীনের লিচু বাগান থেকে কালীগঞ্জ পুলিশ মিমের গলা কাঁটা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং ময়না তদন্ত শেষে বিকালেই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। কালীগঞ্জ পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতেই নিহত মিমের মাতা বাদী হয়ে জামাই এখলাস উদ্দীন সহ মোট ৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার নং -১৫। আলোচিত এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হন কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মতলেবুর রহমান।
কালীগঞ্জ পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মামলাটির তদন্ত কাজে অনেক অগ্রগতি করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আর ও বলেন মামলঅর মুল আসামি এখলাস কে ধরার জন্য অনেক টা নিশ্চিত সুত্র খুজে বের করেছিলেন। হঠাৎ করে পুলিশ বিভাগের সদর দপ্তরে মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর করেছে।
উল্লেখ্য যে, গত দু’মাস আগে প্রেমজ সম্পর্কে কালীগঞ্জ উপজেলার অধীনে রঘুনাথপুর গ্রামের আবুল হাসেমের পুত্র এখলাস উদ্দীন পাশ্ববর্তী কাষ্টভাঙ্গা গ্রামের দিন মজুর ইদ্রিস আলীর কন্যা আয়শা খাতুন মিমকে মুসলিম মরিয়া মতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু মিমের পরিবার গরীব ও দিন মজুর হওয়ায় মিমের স্বামী এখরাসের পরিবার এ বিয়ে মেনে নেয়নি এবং পুত্র বধুকে স্বামী গৃহে উঠতে দেয়নি। ফলে মিম বিয়ের পর থেকেই দিন মজুর পিতার বাড়ীতেই বসবাস করতো। নিহত মিমের পিতা ইদ্রিস আলী জানায় গত ১৬ আগস্ট রাতে তার স্ত্রী নিজেই বাদী হয়ে জামাই এখলাস উদ্দীনকে ১নং আসামি করে মোট ৫ জনের নামে হত্যা মামলা দেয়। ইতোমধ্যে প্রায় ১২/১৩ দিন অতিবাহিত হলেও আলোচিত এই হত্যাকান্ডে এজাহারভুক্ত কোন আসামীই গ্রেফতার হয়নি। শেষ সংবাদে জানাযায়, কন্যা মিমকে হারিয়ে ঐ পরিবারে এখানো শোকের মাতম চলছে। মিমের মাতা মাঝে মধ্যে কন্যা শোকে দৌঁড়ে কবর জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করছে। আর কাষ্টভাঙ্গা গ্রামবাসী মিম হত্যা আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক ফাসীঁর দাবী জানাচ্ছে।