নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বিরুদ্ধে মিটার ভাড়ার নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রাহকরা নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণের সময় সমিতির নিকট থেকে উপযুক্ত মুল্য দিয়ে মিটার ক্রয় করে সংযোগ গ্রহণ করলেও প্রতিমাসে মিটার ভাড়া বাবদ তাদের ১০টাকা করে সমিতিতে প্রদান করতে হচ্ছে। সমিতির নিকট থেকে মিটার কেনার পরও কেন তাদের মাসিক ভাড়া প্রদান করতে হচ্ছে এ নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে রয়ে গেছে ধোঁয়াশা। অনেকেই এ বিষয়ে এই প্রতিবেদকের নিকট চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে, একজন গ্রাহককে পল্লী বিদ্যুৎ এর সংযোগ নিতে হলে আবেদন করার পর মিটারের বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিতে হয়। অর্থাৎ গ্রাহক তাঁর নিজের টাকা খরচ করেই মিটার গ্রহণ করেন। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ কর্ত্তৃপক্ষ মাসিক বিদ্যুৎ বিলের সাথে প্রতিমাসে ১০টাকা করে মিটার ভাড়া হিসাবে গ্রহণ করে থাকেন। গ্রাহকদের প্রশ্ন হলো নিজের টাকায় মিটার কিনে নেওয়ার পরও কেন তাদের প্রতি মাসে মিটার ভাড়া প্রদান করতে হবে। নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ-২ সূত্রে জানা গেছে তাদের মোট গ্রাহক সংখ্যা ২লাখ ৫০ হাজার। প্রতিটি মিটারের বিপরীতে যদি মাসে ১০টাকা হিসাবে ভাড়া গ্রহণ করা হয় তাহলে এখাত থেকে সমিতির মাসিক আয় আসে ২৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ পল্লী বিদ্যুৎ কর্ত্তৃপক্ষ গ্রাহকদের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের অন্ধকারে রেখে প্রতি মাসি ২৫লাখ টাকা আদায় করছে।
এ বিষয়ে পাশ্ববর্তী জেলা চাঁপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রাণীনগর গ্রামের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক আবদুস সাত্তার, তাজিমুল ইসলাম, পাকাটোলা গ্রামের গ্রাহক সেলিম রেজা, সদর উপজেলার মজিবর রহমানসহ আরো কয়েকজন গ্রাহকের কাছ থেকে জানা গেছে সেখানে কোন মিটার ভাড়া গ্রহণ করা হয়না।
একই বিষয়ে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কয়েকজন গ্রাহক দোচাই গ্রামের বিপ্লব, নজিপুর ছোট চাঁদপুর গ্রামের কাজী রফিকুল ইসলাম, মেননসহ এর সাথে কথা বলে জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুতের বিলের প্রেক্ষিতে প্রতিমাসে আমরা বিল জমা দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কেন মিটার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে তা তাঁরা জানেন না। এ বিষয়ে তাঁরা মাঝে মধ্যে নিজেরাই আলাপ করে থাকেন।
এ বিষয়ে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার নূরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গ্রাহকদের নিকট থেকে প্রতিমাসে মিটার ভাড়া গ্রহণের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয়। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।