শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের গেরাপচা গ্রামে অবস্থিত গেরাপচাঁ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। সরকারের স্কুল উন্নয়ন বাজেটে স্কুলের নানাবিদ উন্নয়নে স্কুলটির সজ্জিত করনে এই বিদ্যালয়টি চোখে পড়ার মত। এমন সজ্জিতকরন ক্লাস রোমে গ্রামের চারিদিক থেকে প্রাকৃতিক বাতাস ও ইলেকট্রিক ফ্যান সমৃদ্ধ রোমে প্রতি বেঞ্চে দুজন করে ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। ফলে বিদ্যালয় মুখি হচ্ছে গ্রামের শিশু শিক্ষার্থীরা। বেড়েছে পড়াশুনার মানও।
বিদ্যালয় সূত্রে, ১৯৩৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালিন সময়ে এলাকাসীর সহযোগিতায় একটি দুচালা ছোট্ট টিনের ঘর দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষা যাত্রা শুরু হয়। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। স্কুলটি হাফ বিল্ডিং পরে পাশেই আরেকটি দুতলা সুন্দর পরিপাটি বিল্ডিং স্থাপিত হয়। এখন সরকারের নানামুখি উন্নয়নের স্কুলটির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে ৭ জন শিক্ষক নিয়ে একটানা সকাল হতে বিকেল পর্যন্ত বিরতীহীন ক্লাশের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান কার্যক্রম চলছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সার্বিক তত্বাবধানে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে নির্ধারিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বরাদ্ধকৃত অর্থে মাইনর মেরামত কার্য সম্পাদনের অংশ হিসাবে সম্প্রতি বিদ্যায়লটিতে ২লক্ষ টাকা ও স্লিপ এর টাকা বরাদ্ধ হয়। সেই টাকায় বিদ্যালয়ের নানামুখি কার্যক্রম গ্রহন করা হয়। এরমধ্যে বিদ্যালয়ের কমোড সমৃদ্ধ আধুনিক টাইলস দ্বারা টয়লেট ও ওয়াস রোম, লুকেটর বোর্ড স্থাপন, স্কেচ ম্যাপ, সচিব কর্তৃক নির্দেশনা চার্ট, হোয়াইট বোর্ড, সিটিজেন চার্টার, চেয়ার, ফ্যান ক্রয়, বেঞ্চ, দরজা, আলমারি মেরামত, ফুটবল, ড্রেস ক্রয়, ছাঁদ ঢালাই, মুক্তিযোদ্ধা কর্নার তৈরি, চারিদিকে ওয়েদার কোর্ট দেওয়াল রং, বিশিুদ্ধ পানির ট্যাংকি উপড়ে স্থাপন, সিকিউরিটি ওয়াল রং করাসহ নানাবিদ কার্য সম্পাদন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের মাঠে মাটিও ভরাটের কাজও চলছে।
এব্যাপারে গেরাপচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, আসলে সরকারের দেওয়া অনুদানটি বাস্তবায়নে আমরা সবাই একযোগে মনোযোগ দিয়ে বিদ্যালয়টি উন্নয়ন কাজে হাত দিয়েছি। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা সারা দেশে যেভাবে হয়আমরা সেই ভাবেই গ্রামেও এটি কারা আশা। সেই কথা ভেবেই শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় একটি নান্দনিক ক্লাস রুম তৈরি করতে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে এতে করে সজ্জিত করন রোমে শিক্ষার্থীদের ক্লাশে পড়াশুনা করতে এবং এখন দীর্ঘক্ষন থেকে ক্লাস করতে এখন আর কোন অসুবিধা হয় না। সরকারের ব্যাপক ভিত্তিক এই উন্নয়ন কাজে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের জন্যই শিক্ষা বান্ধব পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এই সজ্জিত করনে বিদ্যালয়ে এখন শিক্ষর্থীদের উপস্থিতিও ও শিক্ষার মান দুটোই বেড়েছে।