কিশোরগঞ্জে পিতার মামলায় পুত্র এখন শ্রীঘরে। জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার পৌর সদর নিশ্চিন্তপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা খন্দকার নূর মোহাম্মদের বখাটে ছেলে খন্দকার আসাদুজ্জামান (পরাগ) (৩২) কে গত শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায় আসাদুজ্জামান পরাগ পিতার অবাধ্য হয়ে তিনটি বিবাহ করে। তার পিতার বাড়ী কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া গ্রামে। সোনালী ব্যাংক থেকে অবসর নেওয়ার পর পাকুন্দিয়া পৌর সদর নিশ্চিন্তপুর গ্রামে একটি মুরগির সেড নির্মাণ করেন এবং সেড সংলগ্ন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করিয়া আসছিলেন। পরাগ পিতা মাতার কাছে প্রায়ই টাকা দাবী করে তার স্ত্রীসহ অন্য জায়গায় বসবাস করার জন্য । পিতা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ঘর ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফার্মে কীটনাশক দিয়ে মুরগী মেরে ফেলে। তার পিতার ব্যবহৃত মটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়। ফার্মের আশপাশে গাছপালা কাটিয়া ফেলে। প্রতিবাদ করিলে পিতা-মাতাকে খুন জখমের হুমকি দেয়। গত ২৩ আগষ্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে আসাদুজ্জামান পরাগ শাবল, লোহার রড দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে তার পিতা-মাতাকে পিটিয়ে আহত করে এবং ঘরে থাকা ডিম বিক্রয়ের নগদ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ফার্মে থাকা ১০ হাজার ডিম ভাঙিয়া ফেলে। তার অত্যাচারে তার পিতা-মাতা বাদী হয়ে অবশেষে গত শুক্রবার পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-১৭, তারিখ-২৪/০৮/২০১৯ । মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠায়।