বগুড়ার ধুনট থেকে ৭ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে (১৩) অপহনের পর ধর্ষন ঘটনায় বগুড়ার একজন চৌকস অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নের্তৃতে পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে জামালপুর থেকে অপিল উদ্দিন (২৫) নামে দুই সন্তানের জনক এক বখাটে যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃতা কিশোরীকে।
বৃহস্পতিবার রাতে জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার সাপধরি ইউনিয়নের চর দিগাই মন্ডলপাড়া এলাকা থেকে ধর্ষিত ওই ছাত্রীকে উদ্ধার ও ধর্ষক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অপিল উদ্দিন লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ থানার রুদ্রশ্বর গ্রামের নজির উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশের একটি দায়িত্বশীল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের মহিশুরার গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তির মেয়ে গোপালনগর ইউএকে উচ্চবিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।
গত ১৬ আগস্ট ওই স্কুল ছাত্রী পাশ্ববর্তী কাজিপুর থানা এলাকার ফুফুর বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধুনট থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) দায়ের করেন। এর পরপরই বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞার দিকনির্দেশনায় শেরপুর -ধুনট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান ও ধুনট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি সার্বিক) ইসমাইল হোসেন সহ সঙ্গীয় ফোর্স ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে মাঠে নামে। বগুড়ার চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে পরিচিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজী আসামি গ্রেপ্তার ও ভিকটিমকে উদ্ধারে বিভিন্ন সময়ে কৌশল পরিবর্তন করেন। তারা জামালপুরের ওই এলাকায় কখনও ভোটার তালিকা হালাগাদ কর্মী বা কখনো ডেঙ্গু প্রতিরোধ টিমের সদস্য পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরনকারীকে গ্রেফতারে অভিযান চালায়।
পুলিশ জানায়, মোবাইলফোনের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নবালিকা স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুই সন্তানের জনক অপিল উদ্দিন। এরপর অপিল উদ্দিন ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন এলাকায় তার আত্বীয়র বাড়ীতে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষন করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত অপিল উদ্দিন ধর্ষনের কথা স্বীকার করেছে এবং ওই ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত অপিল উদ্দিন সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানান তিনি।]