কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়ভিটা গ্রামে রাস্তার গাছ কর্তন করেছে দক্ষিণ বড়ভিটা গ্রামের মৃত-শান্ত বর্মণের ছেলে সুরেন্দ্র নাথ রায় (৫৫), ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা গাছটি কর্তন করে নেয়ার সময় পাশ^বর্তী এলাকার মৃত-জায়মন ব্যাপারীর ছেলে মুসা মিয়াসহ (৩৫) এলাকাবাসী বাধা দিয়ে তা আটকে রাখে।
খবর পেয়ে বন বিভাগের ফুলবাড়ী উপজেলা কর্মকর্তা নবীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পান। এ ঘটনায় মুসা মিয়া বাদি হয়ে অভিযুক্ত মৃত-শান্ত বর্মণের ছেলে সুরেন্দ্র নাথ রায় (৫৫), তেরপু চন্দ্র বর্ম্মণের ছেলে পবিন চ›ন্দ্র রায় (৪২), রনজিত চন্দ্র রায় (৩৫) ও তেরপু চর্ন্দের (৬০) বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে ফুলবাড়ী থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।
মুসা মিয়া জানান, আমাদের পৈত্তিক সম্পত্তির উপর আমরা ইউক্লিপটাস গাছ রোপন করি। গাছটি আমাদের জমির অংশের চলাচলের রাস্তা সংলগ্ন মাটিতে বেড়ে ওঠে। প্রায় ২০/২৫ হাজার টাকা মূল্যের এই গাছটি বৃহস্পতিবার জোড়পূর্বক সুরেন্দ্র নাথ ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা গাছটি কর্তন করে নেয়ার সময় আমরা বাধা দেই ও গাছটি আটক করি। এ সময় তারা আমাকে বিভিন্ন হুমকী-ধমকী দেয়।
অভিযুক্ত সুরেন্দ্র নাথের ছেলে উদয় নাথ ও স্ত্রী সারথী রানী গাছ কর্তনের কথা স্বীকার করে জানান, গাছটি বিদ্যুতের তারে লেগে আমাদের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে এজন্য আমরা গাছটি কর্তন করেছি। গাছটির মালিককে আমরা গাছটি ফেরত দিতে চাই।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার এসআই মহুবর রহমান জানান, গাছ কর্তনের ঘটনায় একটি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনি বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।