ইন্দুরকানীতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ছবি তুলতে গিয়ে ইন্দুরকানী ও পত্তাশীতে পৃথক হামলা ও পাল্টা হামলায় ১৪ জন আহত হয়েছে। রোববার উপজেলা পরিষদ হলরুমে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছিল। এ সময় ছবি তোলার জন্য লাইনে দাড়ানোকে কেন্দ্র করে ইন্দুরকানী গ্রামের মেহেদী হাসানের সাথে একই গ্রামের রাসেলের সাথে কথার কাটাকাটিতে উভয়ে হামলায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের হামলায় ৪জন আহত হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৪ জনকে আটক করে। পরে মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। এ ছাড়া ১৭ আগস্ট শনিবার উপজেলার পত্তাশী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কেন্দ্রের বাইরে তথ্য সংগ্রহকারীর কাছ থেকে ফরম নেয়ার সময় পত্তাশী গ্রামের তরুনের সাথে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আল-আমিনের সাথে কথার কাটাকাটির একপর্যায়ে যুবলীগ নেতাকে তরুন একটি চর মারে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে যুবলীগ নেতা বিচার চাইতে গেলে পত্তাশী বাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের অনুসারী টুকু, সোহাগ, সেতু, সাদ্দাম, জাকির হোসেন, তরুন, সুজন তার সামনেই যুবলীগ নেতা আল-আমিন, রাকিবুল, মফিজুল, ইমাম হোসেন, শাহ আলম, শফিকুল, রাব্বি, আসাদ, আরিফকে পিটিয়ে আহত করে। পরে গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা আল-আমিন, মফিজুল, আরিফকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য আহত আল-আমিন শেখ জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজে গেলে চেয়ারম্যানের অনুসারী সুজন বাধা দেয়। প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যানের লোক তরুন আমাকে চর মারে। পরে চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইতে গেলে টুকুর নেতৃত্বে সোহাগ, সেতু, সাদ্দাম, জাকির হোসেন, তরুন, সুজন তার সামনেই পিটিয়ে আমি সহ ১০ জনকে আহত করে।
পত্তাশী ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদার জানান, আমার সামনেই মারধরের ঘটনা ঘটেছে। তবে আমি মিমাংশা করার চেষ্টা করি। কিন্তু আলামিনের গ্রুপ বৈঠকে না বসে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।