সুজানগরের বিভিন্ন রুটে যাত্রীদের কাছ থেকে ঈদ বকশিশের নাম করে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় অব্যাহত রয়েছে। এনিয়ে যাত্রী এবং যানবাহনের চালকদের মধ্যে প্রতিদিনই বচসা সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলার বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী সিএনজি চালকরা মাত্রাতিরিক্ত এই ভাড়া আদায় করছে।
উপজেলায় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রুট রয়েছে। এসব রুটের মধ্যে কেবল পাবনা-নাজিরগঞ্জ রুটে বাস চলাচল করে। এ ছাড়া অন্য সকল রুটে সিএনজি চলাচল করে। গত সপ্তাহে শেষ হওয়া ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পাবনা-সুজানগর, চিনাখড়া-সুজানগর, কাদোয়া-চিনাখড়া, সুজানগর-বোনকোলা এবং নাজিরগঞ্জ-সুজানগর রুটের সিএনজি চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে ঈদ বকশিশের নাম করে তাদের ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছিল। যাত্রীরাও ঈদের কারণে বিনাবাক্য বিতরণে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করছিলেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহ আগে ঈদ শেষ হয়ে গেলেও সুজানগর-বোনকোলা এবং নাজিরগঞ্জ-সুজানগর রুটে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হয়নি। উপজেলার ক্ষেতুপাড়া গ্রামের সিএনজি যাত্রী নজরুল ইসলাম জানান, সুজানগর-বোনকোলা রুটের ভাড়া যাত্রী প্রতি ৩০টাকা হলেও এখনও ঈদ বকশিশের নাম করে যাত্রী প্রতি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০টাকা। চিনাখড়া-সুজানগর এবং কাদোয়া-চিনাখড়া রুটেও একইভাবে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী যাত্রী আবদুস সবুর জানান। এ ব্যাপারে সিএনজি চালক সাত্তার বলেন চেইন মাস্টারদের নির্দেশে যাত্রী প্রতি ৫/১০টাকা বেশি ভাড়া নিচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিৎ দেবনাথ বলেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।