যশোরে মিনারুল (২৮) হত্যার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি অজ্ঞাত দেখনো হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হচ্ছে, সদর উপজেলার সালতা গ্রামের হাকিম মোল্লার ছেলে বাবর আলী ও একই গ্রামের জহুর আলীর ছেলে ফজলুর রহমান। আটক ফজলুর রহমান সম্পর্কে নিহত মিনারুলের আপন চাচাতো ভাই।
১৫ আগস্ট রাতে দায়েরকৃত মামলায় বাদি নিহত মিনারুলের বড় ভাই আখতারুজ্জামান উল্লেখ করেছেন, ১৪ আগস্ট রাত ১০টার দিকে বাড়ির বসত ঘর সংলগ্ন গরুর গোয়ালের সামনে বসে মিনারুল গরুর জন্যে বিচালি কাটছিলেন। দু’আটি বিচালি কাটার পর তিনি ক্লান্ত বোধ করেন। বাকি দু’আটি বিচালি পলের গাদায় রাখতে যান। পলের গাদা ও গোয়াল ঘরের দুরত্ব দু-তিন ফুটের মতো। পলের গাদায় বিচালি রাখতে যেয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এ সময় বাড়িতে তার স্ত্রী বিথী খাতুন ছিলেন। হঠাৎ কাজ করতে করতে স্বামী মিনারুলকে না পেয়ে তিনি খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। স্বজনরাও তাকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে মিনারুলকে বাড়ির পাশের খালের পাড়ে ইসমাইলের বাগানের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবদুর রশিদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অভিযোগে কোতয়ালি পুলিশ বৃহস্পতিবার বাবর আলী ও শুক্রবার রাতে ফজলুর রহমানকে আটক করে। মামলার তদন্ত কর্মকতা ফুলবাড়ি ক্যাম্পের আইসি আবদুল জলিল জানান, পুলিশ আসামি আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে। খুব শীগ্রই হত্যাকান্ডের ক্লু উদ্ধার হবে।