অথর্ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি বলেছেন বর্তমান সরকার ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ এলাকা বিবেচনা উন্নয়ন সহায়তা শীর্ষক প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের শিক্ষার জন্য শিক্ষাবৃত্তি দেয়াসহ বিভিন্ন সূযোগ প্রদান করা হচ্ছে। কৃষিকাজে সহায়তা হিসেবে পাওয়ার টিলার দেয়া হচ্ছে। গত ১৫ আগষ্ঠ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা শেষে উপজেলা চত্ত্বরে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কৃষকদের মাঝে পাওয়ার টিলার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আদিবাসী জনগোষ্ঠী অত্যন্ত শান্ত প্রকৃতির। তাদের জীবনমান সমস্যাসঙ্কুল। যে কোন সামাজিক কাজ করতে বসে যায় তারা বৈঠকে। তাদের রয়েছে পারগানা পরিষদ। মাঞ্জিহদের নেতৃত্বে সমাধান করে নেয়। সংস্কৃতির বেড়াজালে তারা আবদ্ধ। পরস্পরের প্রতি তারা শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শন করে। মানিয়ে চলতে হয় তাদের সমাজ-সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক ভাবধারাকে। প্রতি বছর তারা আদিবাসী সংস্কৃতি মেলা করে থাকে। সবকিছু আঁকড়ে ধরে তারা তাদের জীবনকে অতিবাহিত করে। অনেকে আর্থিক সংকটের জন্য তাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিকভাবে চালাতে পারেন না। তাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, জীবিকা নির্বাহ ও জীবনমান উন্নত করতে সরকার বিভিন্ন আয়বর্ধনমূলক কর্মসূচী গ্রহন করে থাকে।চিরিরবন্দর উপজেলার ৫৮টি গ্রামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে সাঁওতাল, মুসাহার, তুরী, ভুঁইয়া, ঘাটিয়াল, মুচি মিলে সর্বমোট ১৭ হাজার ৫৫৬ জন বাস করছে। বর্তমানে তাদের শিক্ষার হার ৩২ শতাংশ। সরকার গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে শিক্ষাবৃত্তি সহায়তা ও ভ্যান বিতরণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৮ লক্ষ টাকা বিতরণ করেছেন। নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে সরকার প্রতি অর্থ বছরে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নিজস্ব উদ্দ্যেগে সঞ্চয়ীদল গঠন করে মুষ্ঠির চাল সংগ্রহ করে মাঞ্জিহ’র বাড়িতে জমা রাখে। যা ধর্মগোলা নামে পরিচিত। ছবি আছে।