জাতীয় শোক দিবসে পাবনার চাটমোহরের বেশীরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ওাানো হয়নি জাতীয় পতাকা। উত্তোলনে মানা হয়নি আইন ও নিয়ম। উপজেলা সদরের বেশীরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উঠেছে এই অভিযোগ। জাতীয় পতাকা পর্যবেক্ষণ কমিটির কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি। ফলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে সচেতন মহলে।
গরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,বেশীরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ওাানো হয়নি জাতীয় পতাকা। কেউ কেউ শুধু কাওেলা পতাকা তুলেছে। আবার কেউ বাঁশের কঞ্চির সাথে জাতীয় পতাকা ঁেবধে বাঁকা করে রেখে দিয়েছে।
বিষয়টি কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামীলীগৈর সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো বলেন,সর্ষেও মধ্যেই ভূত আছে,তাই এ অবস্থা। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বললেন,উপজেলা প্রশাসন দিবসটি পালনে তেমন উদ্যোগ নেয়নি। কয়েকজন লোক ডেকে নামকাওয়াস্তে দিবসটি পালন করেছে। প্রশাসনের মধ্যে সুযোগ সন্ধানী ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি সক্রিয় তাই এই অবস্থা।’
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চাটমোহর উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার এস এম মোজাহারুল হক বললেন,সচেুনতার অভাবে এমনটা ঘটেছে। আগের দিন মাইকিং করলে এমনটা কম হতো। ইউএনও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্বে। অথচ তিনি আসেননি। বাধ্য হয়ে আমরাই দিবসটি পালন করলাম।
দিবসটি পালনে জাতীয় পতাকা পর্যবেক্ষণে একটি উপ-কমিটি গঠণ করা হয়েছে। সেই কমিটির আহ্বায়ক ও চাটমোহর থানার ওসি সেখ মোঃ নাসীর উদ্দিন বললেন,আমরা ঘুরে ঘুরে দেখছি। যারা নির্দেশ মানেননি,তারা অন্যায় করেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। আমরা আলাপ করে পদক্ষেপ নেবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার বললেন,সঠিক নিয়মে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করলে,সেটা অবশ্যই জাতীয় পতাকার অবমাননা। কেউ কেউ হয়কো অনাড়িভাবে এটা করেছে। আপনারা তথ্য দিলে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আওয়ামীলীগের সভাপতি মিটিংয়ে ডাকলে আসেন না। সবার সাথে আলোচনা করেই কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।