পাবনার সুজানগরে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার খাল-বিল, জলাশয় এবং ডোবা-নালা থেকে কারেন্ট, খড়া ও বেড় জাল দিয়ে মাছ ধরায় দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ফলে মাছের চাহিদা মেটাতে নির্ভর করতে হচ্ছে পুকুরে চাষ করা বিদেশি মাছের ওপর। প্রত্যেক বছর বর্ষা মৌসুমে নতুন পানির সাথে পদ্মা এবং যমুনা থেকে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলসহ ১৫/১৬টি বিলে বান, পাবদা, নয়না, রায়েক, বোয়াল এবং রুই-কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছে আসে। কিন্তু কতিপয় অসাধু মৎস্যজীবী ওই মাছ বড় হতে দেয়না। তারা বির্বিচারে কারেন্ট, খড়া ও বেড় জাল দিয়ে ওই মাছ নিধন করে। আর তাদের এই নিধন কার্যক্রম চলে পুরা বর্ষা মৌসুম ব্যাপি। উপজেলা মৎস্য বিভাগ মাঝে মধ্যে ওই জাল ধরতে বিলে অভিযান পরিচালনা করলেও তাতে তেমন একটা ফল হয়না। মৎস্যজীবীরা অভিযানকালে মাছ ধরা বন্ধ রাখলেও অভিযান শেষে আবার বিলে নেমে পড়ে। এদিকে নিষিদ্ধ কারেন্ট, খড়া ও বেড় জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করায় মাছের প্রজনন ক্ষেত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় দিনের পর দিন এলাকার খাল-বিল মাছ শূন্য হয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল হালিম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে কেউ মাছ শিকার করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #