সরকারি হিসেবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের অঙ্কটা এখন পর্যন্ত ২৯ বলা হলেও হাসপাতালগুলোর তথ্য বলছে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। মৃতদের নমুনা স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাতে রয়েছে জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বৈজ্ঞানিক যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই জানা যাবে পুরো সংখ্যা। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যুতে অন্যান্য জটিলতাও রাখতে পারে প্রধান ভূমিকা।
সময় যতো গড়াচ্ছে ততোই যেন নিজের প্রকৃত রূপ প্রকাশ করছে ডেঙ্গু। হাসপাতালগুলোতে একদিকে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, অন্যদিকে ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে মৃতের সারি।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের তালিকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন নাম যুক্ত হলেও তার থেকে অনেকটাই পিছিয়ে আছে সরকারি হিসেব। রাজধানীর প্রধান কয়েকটি হাসপাতালের তথ্য যাচাই করলেই স্পষ্ট হয় মাঠের চিত্রের সাথে সরকারি হিসেবের ব্যবধান। হাসপাতালগুলোর মৃত্যের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তির সুযোগ নেই জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, মৃতের নমুনা সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণেই সময় লাগছে প্রকৃত সংখ্যা জানতে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, ডেথ রিভিউ কমিটি মূলত তিনটা অংশ দেখে। অন্য কোনো কারণ হলে তা নিশ্চিত হতে হবে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হলেও, এর প্রধান কারণ হতে পারে অন্য রোগও।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত থাকলে ঝুঁকি বেশি থাকে।
এদিকে, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ডেথ রিভিউ কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, মৃত্যুর হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। মৃত্যুর পেছনের আসল কারণগুলো আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।
যে কোনো বয়সীদের জ্বর হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।
মৃত্যুর তালিকা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ১৮ জন
শহীদ সোহারাওয়ার্দী হাসপাতাল ০৪ জন
স্যার সলিমুল্লাহ হাসপাতাল ০৩ জন
শিশু হাসপাতাল ০৪ জন
বিএসএমএমইউ ০২ জন
মোট ৩১ জন
সরকারি হিসেব
এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা - ২৯ জন
সূত্র- রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর