ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে তিনটি প্রাইভেট ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ১৪ জন রোগীর ডেঙ্গু সনাক্ত করা হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস্কে ডেঙ্গু সনাক্ত করনের প্রযোজনীয় উপকরন না থাকায় কোন জ¦রাক্রান্ত রোগীর রক্ত পরীক্ষা করা সম্ভব হচেছ না।
কালীগঞ্জ মেইন বাসষ্টান্ডে সিটি ডায়াগনষ্টি সেন্টারে গত ১ আগস্ট হতে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ২৫ জন জরাক্রান্ত রোগীর রক্ত পরীক্ষা করে ১৪ জন জনের রক্তে ডেঙ্গুর জীবানু পাওয়া গেছে। সিটি ডায়াগনষ্টি সেন্টারের প্যাথলোজি বিভাগের কর্মরত প্রধান অসীম কুমার রায় বিষয়টি জানান। আকাষ্ট্রন্তরা হলো মিজানুর রহমান বর্ষা, সৌভিক রায়, নাহিদ হোসেন,বন্ধনা রুবাবা জামান, জান্নাতুল ফেরদৌস, অনুভব কুমান,ইমরান হোসেন, মাহাবুব রহমান, শ্রেস্ট কুমার,হাকিম উদ্দি। এ ছাড়া শাহাজালাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ৫ জন জ¦রাক্রান্ত রোগীর মধ্যে আনারুল ইসলাম নামের একজন ডেঙ্গু জীবানু ধরা পড়েছে। ঐ ক্লিনিকের কর্মরত ডাক্তার আশরাফ হোসেন জানান, ডিঙ্গু পরীক্ষার কীট সংকটের কারণে তারা রক্ত পরীক্ষা করতে পারছে না। অন্যদিকে নাহার ডায়াগনষ্টি সেন্টারের সত্বাধিকারি ডাক্তার আলহাজ আবু বক্কার জানান, এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ¦র আক্রান্ত সনাক্ত করন করতে সাধারনত আই সিটিফর, আইজিএম, আইজিজি, এন,এস,আই এস্ক্র বা কীট প্রয়োজন হয়। বাজারে এই সরঞ্জাম পাওয়া যাচ্ছে না বলেই তার প্রতিষ্ঠানে আগত জ¦ারাক্রান্ত রোগীদের ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে পারছে না। একই ধরনের মন্তব্য করেছেন ইকো ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক ইকরামুল হক।তবে সিটি ডায়াগনষ্টি সেন্টারের মালিক রুহুল ইসলাম জানালেন, তাদের হাতে এখন ১২ টি কীট আছে। এ কারণে ১২ জন রোগির রক্ত পরীক্ষা করা যাবে। এই সিটি ড্য়াাগনষ্টিক সেন্টারের সেন্টারের সার্বক্ষনিক কর্মরত ডাক্তার প্রদীপ কুমার জানায়, ডি ভাইজ এবং ডিয়াজেন্ট স্বল্পতার কারণে ডেঙ্গু ভাইরাজ পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে ন্।া চিকিসকরা বলছেন, একটি কীট সর্বনি¤œ ১২০ টাকা দাম। আবার ৪২০ টাকা হতে ৪৫০ টাকা মুল্য। ত্ওা আবার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কালীগঞ্জ হাসপাতালে তো কীট না থাকার কারণে কোন রোগির পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। ৫ আগস্ট ৩ টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগি সনাক্ত করতে পেরেছে। ক্রমান্বয়ে কালীগঞ্জে ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কালীগঞ্জে এ পর্যন্ত ১৯ জন ডেঙ্গু রোগির সনাক্ত হল। ১ আগস্ট থেকে ৫ আগস্ট ১৫ জন আর এর আগে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা ছিল ৫ জন। এ নিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগির সংখ্যা দাড়ালো ১৯ জনে। এভাবে প্রতিদিন রোগির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কালীগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে প্রতিদিন রোগি গিয়ে ফিরে যাচ্ছে ফলে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। হাসপাতালে রোগি যাবার পর তারা তাদের পছন্দনিয় ডায়াগনষ্টি সেন্টারে রোগি পাঠাচ্ছে পরীক্ষা করাতে। আবার গ্রাম এলাকায় অনেক পল্লী চিকিতসকরা জ¦র হওয়া অনেক রোগি তাদের চুক্তি করা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে আসছে পরীক্ষা করাতে। এসব স্থানে পরীক্ষা করালে তারা পাচ্ছেন কমিশনের টাকা।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ সরকারি হাসপাতালের প্যাথলোজি বিভাগের প্রদান জামির হোসেন বলেন, কীট সহ রক্ত পরীক্ষার অন্যান্ন উপকরনের অভাবে জ¦ারাক্রান্ত রোগিদের ডেঙ্গু পরীক্ষা করা সম্ভব না হওয়ায় প্রতিদিন অসংখ্য রোগি হাসপাতাল থেকে ফিরে যাচ্ছে। তাদের দাবি সরকারি ভাবে পর্যাপ্ত কীট সরবরাহ দিলে ডেঙ্গু জীবানু পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।