পবিত্র ঈদুল-আযহাকে সামনে রেখে পাবনার চাটমোহরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে উপজেলার হাট-বাজারে তত বেশি কোরবানির পশু আমদানি হচ্ছে। উপজেলার অমৃতকুন্ডা (রেলবাজার),শরৎগঞ্জ ও নতুন বাজার পৌরসভার পশুর হাটে দেশী গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরু এসেছে। একই সাথে মহিষ ও ছাগলের আমদানি হচ্ছে। পবিত্র ঈদ-উল-আযহা ঘনিয়ে আসায় চাটমোহরের তিনটি পশুর হাটে পর্যাপ্ত পশুর আমদানি হচ্ছে। খামারী,গৃহস্থ ও বেপারীরা গরু,মহিষ,ছাগল হাটে নিয়ে আসছেন। ক্রেতারাও তাদের পছন্দের মতো কোরবানীর পশুটি কেনার জন্য হাটগুলোতে ভীড় করছেন। এবছর খামারী ও গৃহস্থরা দেশীয় গরুর ভালো দামের আশা করছেন। রবিবার চাটমোহর রেলবাজার হাটে গিয়ে দেভা যায়,প্রচুর গরু,ছাগল ও মহিষের আমদানী। বিক্রেতারা জানান,দাম তুলানামূলক কম। ছোট ও মাঝারী সাইজের একটি গরু ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঈদের এখনও কয়েকদিন দেরি থাকলেও ওই সকল হাট-বাজারে প্রচুর পরিমাণে গরু-ছাগল ও মহিষ উঠছে। স্থানীয় গৃহস্থদের পাশাপাশি কোরবানির পশু ব্যবসায়ীরাও হাট-বাজারে গরু-ছাগল ও মহিষ নিয়ে আসছেন। রবিবার রেলবাজার হাটে একটি বড় ষাঁড় গরু নিয়ে যাওয়া গৃহস্থ আঃ লতিফ বলেন বাজারে ষাঁড়টি নিয়ে যাওয়ার পর শত শত মানুষ এক নজর দেখার জন্য ভীড় করেছিল। কিন্তু কেউ তেমন দাম বলেনি। ২/১জন ক্রেতা দাম বললেও তা লালন-পালন খরচের চেয়ে অনেক কম। ফলে তিনি ষাঁড়টি বিক্রি না করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। তবে বিক্রেতারা আশাবাদী ঈদেও ঙ্গ দিন আগে কোরবানির পশুর চাহিদা এবং দাম বৃদ্ধি পাবে। কেননা এখনও সময় হাতে থাকায় ক্রেতারা পশু না কিনে হাট-বাজারে ঘুরে বাজার যাচাই করছেন।