ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরপুলিয়ামারি ও ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কালাদহে পৃথক ঘটনায় পুলিশের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহতদের একজন মাদক ব্যবাসায়ী এবং অন্যজন ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
ডিবি পুলিশের ওসি শাহ কামাল হোসেন আকন্দ জানান, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরপুলিয়ামারি এলাকায় মাদক কেনাবেচার উদ্দেশ্যে কিছু মাদক ব্যবসায়ী অবস্থান করছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে গতরাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের একটি দল। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে জনি মিয়া নামে এক মাদকব্যবসায়ীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহত জনির বিরুদ্ধে মাদক, ডাকাতি, ছিনতাইসহ ১১টি মামলা রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গ্রাম হেরোইন ও ১টি ষ্টিলের চাকু উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এক এসআইসহ দুই পুলিশ সদস্য।
এদিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় এক তরুণীকে গণধর্ষণ মামলার অন্যতম প্রধান আসামি জহিরুল ইসলাম পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি উপজেলার কৈয়ারচালা গ্রামে।
ফুলবাড়ীয়া থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, গত ৩ আগস্ট ফুলবাড়িয়া উপজেলার পলাশতলী গ্রামের এক তরুণীকে বাড়ির পাশে নিয়ে তিন বখাটে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। রবিবার তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে ওই তরুনী। রাতে কালাদহ ঈদগাহ এলাকায় ধর্ষণকারীরা অবস্থান করছে, এমন সংবাদে যৌথ অভিযানে যায় ডিবি ও থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুড়ি ছুড়ে আসামিরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে আহত হয় জহিরুল ইসলাম। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে আসা হলে কর্তব্য চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।