যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশ জেএমবি সদস্য খাদিজা খাতুনসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে। অভিযুক্ত আসামিরা হলো, জয়পুরহাট সদরের কাদোয়া কয়ারাপাড়া গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে ও যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের ভাড়াটিয়া সাদিকুর রহমান সাগর ওরফে মশিউর রহমান ও তার স্ত্রী খাজিদা খাতুন, যশোরের চৌগাছা হাজি তেল পাম্পের সামনের বাড়ির বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন বিশ্বাসের ছেলে শফিকুল ইসলাম টিটু ও যশোর পুরাতন কসবার ওলিয়ার রহমনের বাড়ির ভাড়াটিয়া জহুরুল ইসলাম রনি।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোড মসজিদপাড়ার একটি বাড়িতে জঙ্গি নেতা নুরুল ইসলাম মারজানের বোন অবস্থান করছে বলে জানতে পারে পুলিশ। পরে পুলিশ সদস্যরা বাড়িটি প্রাথমিক ভাবে ঘিরে রাখে এবং তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করে জননিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এরপর মাইকে আসামি খাদিজাকে অত্মসমর্পণ করার জন্য বলা হয়। একদিন পর স্বামী সাদিকুর রহমান সাগর ওরফে মশিউর রহমান বাসায় না থাকায় খাদিজা খাতুন তিন সন্তান নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর সোয়াত টিম খাদিজার বাড়ি থেকে তিনটি সুইসাইডাল ভেস্ট উদ্ধার করে তা নিস্ক্রিয় করে। সেখান থেকে ২৪০টি বিয়ারিং এর বল উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে কোতয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড কমিউনিটি পুলিশিং) তোফায়েল আহমেদ দুইজনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর কোতয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্ট অ্যান্ড কমিউনিটি পুলিশ) সুমন ভক্ত আটক ওই ৪জনকে অভিযুক্ত করে শনিবার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।