সোনাতলা উপজেলার কুখ্যাত দাদন ব্যবসায়ী মোঃ শিমুল আকন্দের চেক জালিয়াতি মামলায় প্রভাষক রওশন আরা নার্গিসকে খালাস প্রদান করেছে। বিজ্ঞ আদালাত গত ২৬-০৬-১৯ ইং তারিখে বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ইসরাত জাহান দীর্ঘ ২ বছর সাক্ষ্য প্রমান শেষে এ রায় প্রদান করেন। জানা যায় শিবগঞ্জ উপজেলার হাবিবপুর স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রভাষক রওশন আরা নার্গিসের বিরুদ্ধে ২০১৬ইং সালে সালে বগুড়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার এবং ১২ লক্ষ টাকার ২টি চেক জালিয়াতির মামলা করেন (যার মামলা নং হলো ১৩২সি/১৬ এবং ৬১সি/১৬) সোনাতলা উপজেলার কুখ্যাত দাদন ব্যবসায়ী কাবিলপুর গ্রামের মৃত সামছুদ্দিন আকন্দের ছেলে মোঃ শিশুল আকন্দ। আদালত দীর্ঘ শুনানী শেষে উপযুক্ত সাক্ষী প্রমান না থাকায় প্রভাষক রওশন আরা নার্গিসের পক্ষে রায় প্রদান করেন এবং এই মামলা থেকে বিজ্ঞ বিচারক তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। মামলাটির বাদি পক্ষের উকিল ছিলেন এ্যাড. উৎপল কুমার বাগচী এবং বিবাদী পক্ষের উকিল হিসেবে লড়েন এ্যাড. হাফিজুর রহমান বকুল। উল্লেখ্য দাদন ব্যবসায়ী শিমুল আকন্দ সোনাতলা উপজেলার এক আতংকের নাম। যার নিষ্ঠুরত রক্ষা পায়নি স্কুল কলেজের শিক্ষক সহ বিভিন্ন সরকারী- বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় ২০০৮ সালে দাদনের টাকা নিয়মিত দেয়ার পরেও সামান্য হেরফের হওয়ায় শিমুল আকেন্দর নির্দেশে তার কর্মচারীর দায়ের করা মামলায় জেল জীবন ভোগ করে পার্শবর্তী সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি ইউনিয়নের মেছট গ্রামের অধিবাসী ও জুমারবাড়ি আদর্শ কলেজের প্রভাষক আরমান আলী। এ ঘটনার পর লজ্জায় ক্ষোভের কারনে বাড়তি চাপে হার্ট এটাক করে মারা যায় তার স্ত্রী। বিষয়টি সেসময় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিলে। কিন্তু এরপর থেমে থাকেনি তার দৌরাত্ম , তার খপ্পরে পড়ে একের পর এক নিঃস্ব হতে থাকেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। এতকিছু পরও শিমুল আকন্দ আইনী ফাক ফোকর দিয়ে এবং অর্থের বিনিময়ে ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায়। এই দাদন ব্যবসা চালিয়ে গত ২০/২৫ বছরে শিমুল আকন্দ এখন হয়েছে কোটি কোটি টাকার মালিক। সে সোনাতলায় রড-সিমেন্ট ও ঢেউটিনের ব্যবসা কর্মচারী দিয়ে পরিচালনা করলেও বগুড়া শহরে সে রাজকীয় জীবন যাপন করে। এদিকে প্রতারনা ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ এনে একই কোটে ২০১৭ সালে শিমুল আকন্দের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন প্রভাষক রওশন আরা নার্গিস, যার মামলা নং হলো ১২২/১৭। মামলাটি এখনও কোর্টে বিচারধীন।