এফবগুড়ার গাবতলীতে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় মেয়ের বাবা আ.লীগ নেতা ফুল মিয়া (৫২)কে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে জখম করেছে তরিকুল ইসলাম তরি (২৩) নামের ছাত্রলীগের এক ক্যাডার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। গুরুতর আহত ফুল মিয়া এখন বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে উপজেলার জামিরবারিয়া বাজারে।এ ঘটনায় থানায় ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২জন মহিলাকে আটক করে থানায় এনেছে।জানা গেছে, উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের খুপি দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত ছানা মিয়ার ছেলে তরিকুল ইসলাম তরি গত এক মাস আগে সোনারায় ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফুল মিয়ার মেয়ে সুখানপুকুর সৈয়দ আহম্মেদ কলেজে অধ্যয়রত ১ম বর্ষের ছাত্রী সাথী আকতার (১৭) কে প্রেম প্রস্তাব দেয়।
প্রেম প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় কলেজ যাওয়ার পথে সাথীকে মাঝে মধ্যই উত্ত্যক্ত করা হতো। বিষয়টি সাথী তার বাবা-মা’কে জানায়। সাথীর বাবা তখন ঘটনাটি তরিকুল ইসলাম তরি’র অভিভাবকদেরকে জানায়।
এতে তরি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তরি। প্লান করে সাথীর বাবা’কে প্রাণে মেরে ফেলার। গত ২আগষ্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফুল মিয়া সোনারায় ইউনিয়নের জামিরবাড়িয়া হাটে বাজার করতে গেলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা তরি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় রামদা, চাইনিজ কুড়াল, চাকু, খুর ও রড দিয়ে ফুল মিয়ার শরীরের মাথা, পেট ও বাম হাতের ডাবনায় হত্যার উদ্যেশ্যে কোপ দেয়। এতে রক্তাক্ত জখম হলে স্থারীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় ফুল মিয়াকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় একদল পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২জন মহিলাকে আটক করে থানায় আনা হয়। এ ঘটনায় আহত ফুল মিয়ার ছেলে আমির হোসেন বাদী হয়ে ঘটনার রাতেই ৪জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৭/৮জনকে অজ্ঞাত বলে মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত তরিসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ ( ওসি সার্বিক)সেলিম হোসেন বলেন, বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।