কুড়িগ্রামের রাজারহাটে প্রবীন রাজনীতিবিদ ও উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমরেড আবু বক্কর সিদ্দিক বার্ধ্যকজনিত কারণে ১লা আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ঘটিকায় তাঁর নিজ বাসভবন কৈলাশকুটি গ্রামে ইন্তেকাল করেছেন(ইন্নানিল্লাহী........ রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ২পুত্র, ৩কন্যা, নাতি-নাতিনী,বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টায় মরহুমের জানাজা শেষে তাঁর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। কমরেড আবু বক্কর সিদ্দিকের মৃত্যুতে কুড়িগ্রাম জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি হারুন অর রশিদ লাল, সহ-সভাপতি জিতেন্দ্রনাথ রায়, সাধারণ সম্পাদক এসএম ছানালাল বকসী, কুড়িগ্রাম বঙ্গবন্ধু পরিষদের পৌর কমিটির সভাপতি মনোয়ার হোসেন, জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি চাষী নুরনবী, জেলা ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি জ্যোতি আহম্মেদ, রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দ্দী বাপ্পি, ভাইস চেয়ারম্যান আশিকুর ইসলাম মন্ডল সাবু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ ইয়াসমিন বেগম, রাজারহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ চাষী আবদুস ছালাম মাষ্টার, সহ-সভাপতি আজগার আলী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ আবুনুর মোঃ আক্তারুজ্জামান, বিএনপির সভাপতি আনিচুর রহমান, জাপা সভাপতি আমজাদ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রজব আলী, উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডল, সাংবাদিক প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, জাসদ সভাপতি শামসুল হক ব্যাপারী, বাসদ সভাপতি কমরেড প্রভাত চন্দ্র রায়, বাস-মিনবিাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আইয়ুব আলী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলম মিয়া, রাজারহাট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল হকসহ প্রেসক্লাব রাজারহাটের সকল সাংবাদিকবৃন্দ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ্য, কমরেড আবু বক্কর সিদ্দিক ১৯৭৪ সাল থেকে রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির রাজারহাট থানা শাখার সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি ছিয়াত্তরের দূর্ভিক্ষের সময় লংগর খানা পরিচালনা ও এরশাদ হটাও আন্দোলনে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। এ ছাড়া গণফোরাম এর সভাপতি ও সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু পরিষদ রাজারহাট উপজেলা শাখার সভাপতি ছিলেন।