বগুড়ায় আবারো খান মার্কেটে অভিযান চালাতে গিয়ে ব্যার্থ হয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় খান মার্কেটের ফার্মেসীতে র্যাবের সম্মন্বয়ে গঠিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বাঁধা দেয়াকে কেন্দ্র করে র্যাবের সাথে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় দোকান পাট বন্ধ করে সমাবেশ করেছে শ’ শ’ ওষধ দোকানীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব -১২ বগুড়া বিশেষ কোম্পানীর সম্বন্বয়ে গঠিত র্যাব সদর দপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেট ও ল’অফিসার মুহাঃ আনুছুর রহমানের নের্তৃতে ভ্রাম্যমান আদালত শহরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত ওষদের ডিপো হিসাবে পরিচিত খান মার্কেটের অভিযান শুরু করে।
র্যাবের সহযোগিতায় অভিযানের শুরুতেই স্থানীয় ওষধ দোকানীদের বাঁধার মুখে পড়ে ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালতকে মার্কেটের প্রবেশের সময় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দোকান পাটের ঝাঁপ নামিয়ে দেয় ওষধ ব্যবসায়ীরা। এ সময় শত শত দোকানী ভ্রাম্যমান আদালতকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যদের সাথে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এ সময় র্যাব সদস্য সহ কয়েকজন আহত হয়। এ সময় খবর পেয়ে র্যাব-১২ বিশেষ কোম্পনীর অধিনায়ক মেজর এসএম মোর্শেদ হাসানের নের্তৃতে র্যাবের অতিরিক্ত র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে মার্কেট এলাকায় অবস্থান নিলে বগুড়া জেলা ড্রাগস এ- কেমিষ্ট এর আওতাধিন সকল ফার্মেসি মালিকরা একজোট হয়ে দোকান বন্ধ করে দেয়। এ সময় তারা র্যাবের অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয়।এর একপর্যায়ে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শহরের সাতমাথায় প্রতিবাদ সমাবেশ করার চেষ্টা করলে সেখানে যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটে। ফলে সেখানে পুলিশ তাদের বাধাঁ দেয় হটিয়ে দেবার চেষ্টা করে।
ওই সময় বিক্ষোভ কারীদের সাথে বচসা চলার একপর্যায়ে তারা পুলিশের উপর চড়াও হবার চেষ্টা করলে পুলিশ শক্ত অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় সেখান থেকে পুলিশ কামাল নামের সবুজ ফার্মেসীর নামের এক কর্মচারীকে আটক করে। পরে কেমিষ্ট এ- ড্রাগিষ্ট সমিতির নের্তৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় সেখানে তৎক্ষনাত পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। বগুড়া কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় কেউ বাধা দেয়নি। দোকান বন্ধ করা হলেও পরে খোলা হয়েছে।
পরে খান মার্কেটের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ব্যার্থ হলেও পাশ্বৃবর্তি আজিজ ম্যানশনের বেশ কয়েকটি ওষুধের দোকানগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র্যাব-১২ এর অধিনায়ক মেজর এসএম মোর্শেদ হাসানের উপস্থতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিছুর রহমানের নেতৃর্তে আদালত মার্কেটের শাহী ফার্মেসী মর্ডান,আরকে ও সেলিমা মেডিকেল নামের ওষদের দোকানে অভিযান কালে বিক্রয়ের জন্য নহে সিল যুক্ত ফিসিসিয়ান শ্যাম্পল ও রেজিট্রিশন বিহীন ওষধ রাখার অপরাধে ৪ ফার্মেসীকে ১লক্ষ ১০হাজার টাকা জরিমানা করেন।
পরে বিকালে ৪টায় ঘটনাস্থলেই এক প্রেস ব্রিফিং কালে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুহা ঃ আনিছুর রহমান এবং মেজর এসএম মোর্শেদ হাসান। তারা অভিযান সমপর্কে বিস্তারিত জানান সাংবাদিকদের।
এদিকে পরবর্তিতে বাংলাদেশ ড্রাগিষ্ট এ- কেমিষ্ট বগুড়ার অফিসে আয়োজিত তৎক্ষনাত জনার্কিন এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সমিতির নের্তৃবৃন্দ ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে র্যাবের মারপিটে আহতদের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, স¤্রাট ফার্মেসীর মালিক স¤্রাট,আতিকুর রহমান সোহেল ,কর্মচারী মিলু ,ইয়াছিন সহ বেশ কয়েকজন র্যাবের মারপিটে আহত হয়েছেন্। এ সময় তারা গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তিদাবী করেন। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। বগুড়া কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাধারন সম্পাদক জিয়াউল হক বাবলা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহঃসভাপতি মোস্তাফিজার রহমান, সাং সম্পাদক আতিকুর রহমান সোহেল যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বাদল কুন্ড প্রমুখ।