ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ সড়কটি এখন আগের তুলনায় খুবই ব্যস্ত মহাসড়ক। বাস, ট্রাক সহ অন্যান্য বৈধ যানবাহনের পাশাপাশি শত শত থ্রিহুইলার, নছিমন, করিমন, ভটভটি, ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত পাখি ভ্যান চলাচল করতে দেখা যায়। কালীগঞ্জ শহরে যাওয়ার পথে দেখা গেল মৃত্যু ফাঁদের কিছু চিহ্ন। ইচ্ছে করলে ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জ সড়ক বিভাগ সহজে এবং দ্রুত সমাধান করতে পারে। এই সড়কের খড়িখালি বটতলা দিদার মাষ্টারের বাড়ি থেকে মায়াময় বালিকা উচ্চবিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার পাশ থেকে মাটি সরে গেছে। মসৃন সুন্দর রাস্তার পাশে মাটি না থাকায় যেন মনে হচ্ছে বস্ত্রহীন কোন জীব। সব আছে, কিন্তু কিছু একটা নেই। আর এই নেই জিনিসটা হচ্ছে মৃত্যুর ঝুকি। যানবাহন সাইট দিতে গেলে একবার এই খাদে পড়লে জীবন বিপন্ন হতে পারে। মাসের পর মাস এই চিত্র সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করলেও ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের যেন কোন মাথা ব্যাথা নেই। অথচ তাদের অবহেলায় এই ফাঁদ তৈরী হয়েছে। রাস্তা করার সময় ঠিকাদারকে প্রতি কিলোমটার মাটির কাজের জন্য যা দেওয়া হয়েছিল, এই দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে তিনি মাটির টাকা পকেটস্থ করেছেন। ফলে পিচ ঢালা পথটি সুন্দর দেখা গেলেও পাশে তৈরী হয়েছে মৃত্যুর ফাঁদ। এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে ওই সড়কে চলাচলকারী হাজারো যাত্রী বাঁতে চাই। আশা করি ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের অচিরেই জ্ঞান ফিরবে।
এমনিতে রাস্তা চৌড়া কম। তার উরপে দুই পাশে মাটি নাই। পাশাপাশি দুইটা গাড়ি চলতে গেলে মারাতœ ঝুকিতে পড়তে হয়।কালীগঞ্জ থেকে ঝিনাইদহের দিকে যাওয়ার পথে মহাসড়কের দুরবস্থা সম্পর্কে অনেক চালক ও বলে থাকে এটা মারাতœক ঝুকি। কালীগঞ্জ টেলিফোন অফিসের সামনে প্রায় ১ ফুট মাটি নেই।সড়কের দুই পাশের অবস্থা খারাপ। সড়কের দুই পাশ থেকে মাটি সরে গিয়ে দেড় থেকে দুই ফুট পর্যন্ত গভীরতার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে সড়কের পাশ দিয়ে পথচারীরা হাঁটতে পারে না। কালীগঞ্জ ঝিনাইদহ সড়ক টি খুবই ব্যাস্ততম সড়ক এ সড়ক দিয়ে দিন রাত সর্বসময় যানবাহন চলাচল করে থাকে। প্রায়দিনই দু,একটি দূর্ঘটনা ঘটতেই থাকে।
দুর্ঘটনা কবলিত একটি সিএনজি চালিত অটো রিকশার চালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, কয়েক বছর ধরেই সড়কটির দুই পাশে মাটি না দেওয়ায় গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে তিনি নিজেই অন্য একটি গাড়িকে রক্ষা করতে গিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে যান। এতে তিনি ও তাঁর অটোরিকশার যাত্রীরা আহত হন।
বর্তমানে সড়কটির বেশির ভাগ অংশেরই দুই পাশে (সোল্ডার) মাটি না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি দেওয়া দরকার।