সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের হাজীপাড়া ও পাইকারপাড়া গ্রাম। এ দু’গ্রামের ভিতর দিয়ে সাড়ে ৩ কিলোমিটার একটি কাঁচা রাস্তা। ওই রাস্তাটি দীর্ঘ ৪০ বছরেও সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। রাস্তার মধ্যখানে প্রায় স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। ফলে ওই গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। হাজীপাড়া ও পাইকারপাড়ায় বর্তমানে রয়েছে দুটি দাখিল মাদ্রাসা, ৪টি সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৮টি মসজিদ। ওই পথ দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থীসহ দুই গ্রামবাসী যাতায়াত করে। তাছাড়া মসজিদের মুসল্লিরা কাদা-পানিতে একাকার রাস্তা পাড়ি দিয়ে নামাজ আদায় করছেন মসজিদে গিয়ে। মুসরত ধুলিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার এ.কে.এম বাহার উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিনেও এ রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় ভরা বর্ষায় বিরাজ করছে বেহাল অবস্থা। অনেক কষ্ট করে কাদা পানিতে একাকার হয়ে প্রতিষ্ঠানে আসছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিষয়টি অবগত থাকলেও কেন যেন কাজ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে কথা হয় মুসরত ধুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাকসুদা বেগমের সাথে। তিনি বলেন, এ রাস্তাটি সংস্কার অতীব জরুরি। দুই গ্রামের মানুষের শহরে যাতায়াতের একটি মাত্র রাস্তা এটি, কিন্তু রাস্তাটির বেহাল অবস্থা বিষিয়ে তুলেছে গ্রামবাসীকে। ওই এলাকার তরুণ যুবক মো. শাহ আলম। রাস্তার বেহাল অবস্থা দেখে তিনি নিজের সাধ্যমত অর্থ দিয়ে গর্তগুলোতে কোথাও মাটি আবার কোথাও ইটের গিট্টি দিয়ে ভরাট করে দিয়েছেন। যাতে এলাকার মানুষরা শহরে যেতে পারেন। শাহ আলম জানান, বর্তমানে রাস্তাটি দিয়ে ভ্যান, রিকশা যাওয়া তো দুরের কথা, মানুষ হেটেও যেতে পারছেন না। যখন নির্বাচন আসে তখন প্রার্থীরা রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্রতি দেন। কিন্তু নির্বাচন হয়ে গেলে তারা আর ফিরেও তাকান না রাস্তার দিকে। এভাবে বারবার ভোট আসে, ভোট যায় কিন্তু রাস্তা আর সংস্কার হয় না। রাস্তার বেহাল অবস্থা সম্পর্কে কথা হয় সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, আসলে রাস্তাটি মেরামত অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু রাস্তা মেরামতের বিষয়টি নির্ভর করছে এমপি মহোদয়ের কাছে। এদিকে রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে কথা বলেন, খাতামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুয়েল চৌধুরী। তিনি বলেন, বার বার রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু ভাটার ইট বহন করার কারণে রাস্তাটির বেহাল অবস্থা দাঁড়িয়েছে। এখন একটি পথ রয়েছে রাস্তাটি পাকাকরণ। আর পাকাকরণের বিষয়টি নির্ভর করছে এমপি মহোদয়ের কাছে। এদিকে গ্রামবাসী বলছেন দ্রুত আমাদের এ রাস্তাটি সংস্কার না হলে আমরা বড় ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করবো।