সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নজির হোসেনের নজিরবিহীন অপকর্মের প্রতিবাদে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এক সংবাদ সম্মেলন করেছে। গত ২৭ জুলাই তুলশিরাম সড়কে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বাদল, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইদ্রিস আলী, আ.লীগ নেতা কাজী আবদুল লতিফ, জোবায়দুর রহমান শাহিন, এজাজুল হক বাচ্চুসহ অনেকে। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নজির হোসেন মাদক সেবন, মাদক বিক্রি এবং মাদকসেবীদের নিয়ে ছাত্রলীগ কার্যালয়টি আড্ডাবাজিতে পরিণত করেছে। এছাড়াও বিভিন্নজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তার কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে। আ.লীগ নেতাদেরকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ লাঞ্ছিত করারও প্রমাণ মিলেছে। সে ছাত্রলীগ সভাপতি হয়ে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে চলছে। উল্লেখ্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সৈয়দপুর পৌর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেনকে সম্প্রতি লাঞ্ছিত করেছে। একজন সিনিয়র নেতাকে ছাত্রলীগ সভাপতি কর্তৃক লাঞ্ছিতের বিষয়টি আ.লীগ নেতাদের মধ্যে ক্ষোপের সৃষ্টি করেছে। পরবর্তীতে বিচার চেয়ে ওই নেতা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে তা তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া যায়। ওইসকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগ সভাপতি নজির হোসেনকে দলীয় কার্যালয়ে ডেকে সতর্ক করা হয়েছিল কিন্তু সে কোন কথায় গুরুত্ব না দিয়ে আরও বেপড়োয়া ওঠে। গত ২৪ জুলাই সৈয়দপুর বিমানবন্দরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতিকে বিদায় জানানোর পর ওই সভাপতি নজির হোসেন মাদকসেবী বন্ধুদের নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা সজীবকে আক্রমণ করে। পরে বিমানবন্দরে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে। আমরা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপজেলা ও পৌর শাখা মিলে তার এ সকল অপকর্মের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বরাবরে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগ দায়েরের পর কোন প্রতিকার না হওয়ায় ওই সভাপতি আরও বেপড়োয়া হয়ে ওঠে। তাই সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌর শাখা বিতর্কিত ছাত্রলীগ সভাপতি নজির হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে। সেই সাথে নজির হোসেনকে সভাপতির পথ থেকে বহিষ্কার করে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ওই সভাপতিকে গ্রেফতারের দাবিতে সৈয়দপুর থানা ঘেরাও করেন এবং কর্মকর্তা ইনচার্জকে লিখিত অভিযোগ দেন। এ সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় গত ২৫ জুলাই উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায়।