আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন ছেলেধরা কোথাও নেই, কোন এলাকায় এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। গুজব ছড়িয়ে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা একত্র হয়ে সরকার পতন ঘটাতে চায়, ইনশাল্লাহ তারা সরকারের পতন ঘটাতে পারবেনা।
মেলান্দহের দুরমুঠ আমবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার দুপুরে বন্যার্তদের মাঝে আওয়ামীলীগ দলীয় ত্রান বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, পর্যাপ্ত ত্রান মজুদ রয়েছে, যত ত্রাণ প্রয়োজন, দুর্গতদের দেয়া হবে। কাউকে না খেয়ে থাকতে হবেনা। খাদ্যে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পুর্ণ করতে ধানের উৎপাদন বাড়াতে নতুন নতুন ধান আবিস্কার করা হয়েছে। সেই ধান ক্ষেত পানিতেও নষ্ট হবেনা, এমনকি লবনাক্ত জমিতেও জন্মাবে। ফলে এখন দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ। পানি নেমে গেলে কৃষকদের বিনামুল্যে বীজ ও সার দেওয়া হবে উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান এমপি বলেছেন, ত্রানের কোন সংকট নেই, বন্যা দূর্গত এলাকাগুলোতে যেখানে যখন যা ত্রান লাগবে সরবরাহ করা হবে। বন্যা কবলিত মানুষদের বন্যার হাত থেকে বাঁচাতে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদী খনন ও রাস্তাসহ টেকসই বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মান করা হবে। নদীতে পানি বাড়লে নদীর পানি নদীতে চলে যাবে। নদীর পানি উপরে উঠে বাড়ীঘর রাস্তা ঘাটের ক্ষয়ক্ষতি ও মানুষ ভোগান্তিতে যেন করতে না হয়, তার সর্বাত্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
জেলা আওয়ামীলীগের ত্রান কমিটির আহবায়ক ও মেলান্দহ উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি, বাবু অসিম কুমার উকিল এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক বেগম শামছুন্নাহার চাঁপা, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও সদস্য মারুফা আক্তার পপি, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী প্রমুখ।
পরে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ত্রান কমিটি জেলার ৬টি উপজেলায় ১০টি স্পটে বন্যার্তদের মাঝে ত্রান বিতরন করেন।