বেনাপোল স্থলবন্দরে অবৈধভাবে আমদানিকৃত ২০০ কেজি ভায়াগ্রা পাউডারের একটি চালান আটক করেছে কাস্টমস সদস্যরা। আটক ভায়াগ্রা পাউডারের মূল্য এক কোটি টাকা। এ অপরাধের সাথে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আহাদ এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। এরআগে গত ১৩ এপ্রিল চালানটি পরীক্ষার জন্য বেনাপোল বন্দর থেকে একটি বাংলাদেশি ট্রাকসহ মালামালগুলো আটক করা হয়।
অভিযুক্ত আমদানিকার প্রতিষ্ঠানটি রাজধানীর কলাবাগানের ক্রিসেন্ট রোডের ১৫৩/৩ কাঁঠালবাগান এলাকার রেড গ্রীণ ইন্টারন্যাশনাল। অবৈধ আমদানিতে সহযোগী ছিলো সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান বেনাপোলের আহাদ এন্টারপ্রাইজ।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, একটি অসাধু চক্র অবাধে ভারত থেকে আমদানিযোগ্য পণ্যের আড়ালে ভায়াগ্রা নিয়ে যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস সদস্যরা ওই আমদানিকারককে নজরদারিতে রাখেন। পরে ওই আমদানিকারক ফ্লেভার ঘোষণায় একটি পণ্য চালান আমদানি করে ছাড় নেয়ার সময় চালানটি জব্দ করা হয়। আড়াই মাস পর দায়িত্বশীল বিভিন্ন দফতরে পণ্যের নমুনা পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যায় আমদানিকৃত ২০০ কেজি পাউডারটি ভায়াগ্রা। এ অপরাধের জন্য ইতোমধ্যে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আহাদ এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, এমন অনেক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আছে যারা এভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবাধে আমদানি যোগ্য পণ্যও পাচারের সাথে যুক্ত। এসব ব্যবসায়ীদের সাথে কাস্টমসের অনেক কর্মকর্তাদের সম্পর্ক রয়েছে। অবৈধভাবে আমদানিতে সহযোগিতা করে তারাও হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। এতে সরকারও শত কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমসের সহকারি কমিশনার দীপা রানী হালদার বলেন, এই অপরাধের সাথে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আহাদ এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। জালিয়াতি ও অবৈধ পণ্য সুকৌশলে আমদানির অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর দোষীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়া হবে।