সবার জন্য সাদা মুরগীর বিরয়ানী কর। নইলে আমি যাবোনা। শুধু বিরিয়ানী নয়, সাথে লাগবে সাদা রসের মিষ্টি। শ্রেণী কক্ষে পাঠদান চলতে চলতে হঠাৎ মধ্যকার বেঞ্চ থেকে ঝটপট করতে করতে এমন কথাগুলো বেশ জোরে জোরে বলতে শুর করে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রুমি আক্তার। এ সময় সে আরো বলে, মরে যাচ্ছি বুকটা জ¦লে যাচ্ছে, আর বাঁচবোনা আমি। কে যেন গলাটা চেপে ধরেছে আমার, আর দম নিতে পারছিনা।
এমন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শিক্ষর্থীর আচরনে হতভম্ব হয়ে পড়েন শিক্ষক মাহফুজাসহ ওই শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের হৈ চৈ শুনে ছুটে আসেন প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকরাও। এমন সংবাদে ছুটে আসেন পাড়ার পল্লী চিকিৎসকস ও ওঝারা। এরপর রুমি ঝটপট করতে শিক্ষদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিদ্যালয়ের সবার জন্য সাদা মুরগীর বিরিয়ানী পাক করতে, নইল সে শান্তি পাবেনা। সে এ এলাকা ছেড়ে যাবেনা। এর কিছুপর এমনভাবে অসুস্থ হয়ে যায় একই শ্রেণীর খতিজা। তাদের এমন আচরনে বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষার্থীর জন্য শুরু হয় সাদা মুরগীর বিরিয়ানী রান্না। ঘটনাটি ঘটে বুধবার দুপুরে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের দামপুরা বরেন্দ্র একাডেমিতে।
জানা যায়, গলাকাটা আতঙ্ক শুরুর সাথে সাথে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শুরু হয় এমন এক নতুন আতঙ্ক। প্রায় প্রতিদিনি কোন না কোন শিক্ষার্থী এমন আচরণ করতে করতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। সোমবার এমনভাবে অজ্ঞান হয়ে পড়ে তিষা, তানি, নিলা ও শান্তনা। পরে তাদের অভিভাকরা এসে নিয়ে যায় বাড়ীতে এবং চিকিৎসা দেয়। পরে তারা সুস্থ্য হয়ে ওঠে। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শুরু হয়েছে নতুন এক আতঙ্ক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেফাউর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি যুগান্তরকে জানান, “এমন ঘটনা ঘটছে তার বিদ্যালয়ে কয়েকদিন থেকে। আজও দুই শিক্ষার্থী প্রলাপ বকতে বকতে অদ্ভুত আচরণ শুরু করে। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের সাদা মুরগীর বিরিয়ানী ও সাদা রসের মিষ্টি খাওয়াতে বলে, তবেই এমন সমস্যার সমাধান হবে তার বিদ্যালয়ে। অসুস্থ হয়ে পড়া দুই শিক্ষার্থীর এমন কথা শুনে বিদ্যালয়ে আজ (বুধবার) সবার জন্য বিরিয়ানী রান্না করা হচ্ছে বলেন তিনি।