ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে ক্রমান্বয়ে সাধারন চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংঘবদ্ধ চোরেরা দিনে রাতে সর্বসময় কোন না কোন স্থানে চুরি করছে। অবশ্য আইন প্রয়োগকারি সংস্থার সদস্যরা বড় বড় চুরির ঘটনা ঘটলে ও এ পর্যন্ত কোন চোর কে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুিলশের কাছে জানতে চাইলে নগদ কথা বলে দেয় আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি,তাইজানি না। অনেকে লিখিত অভিযোগ দিলে ও পুলিশ কোন চোরদের আটক করতে পারে না। অভিযোগ থানা পুলিশের কাছেই থেকে যায়।
এদিকে কালীগঞ্জের ইমা সুপার মার্কেটের ৩ টি দোকানে তালা ভেঙে চুরি সংগঠিত হয়েছে। ২০ জুলাই দিবাগত রাতে এ মার্কেটের রাজদুত বাইক, এ আর ইলেকট্রনিক্্র ও আবির অটো থেকে নগদ টাকাসহ প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। রাজদুত বাইকের ম্যানেজার সুমন জানান,শনিবার দিবাগত রাতে তার ইজিবাইকের সোরুম ও পাশের এ আর ইলেকট্রনিক্স্রের মোট ১৫ টি তালা ভেঙে ১৫ হাজার টাকা, ৫ টি মটর, ১১ টি টায়ার, ২ টি কন্ট্রলার, ৪ টি স্প্রিং পাত ও অন্যান্য জিনিসপত্রসহ প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। পার্শ্ববর্তী আবির আটোর মালিক স্বপন কুমার জানান, তার দোকানের তালা ভেঙেও ৪ টি ব্যাটারী, ৩ টি কন্ট্রলারসহ প্রায় ২৫ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। কালীগঞ্জ থানার এস আই জাহিদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, নাইট গার্ড ডিউটিরত থাকার পরও কিভাবে এতোগুলো তালা ভেঙে ৩ টি দোকানে চুরি হলো পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
১১ জুলাই উপজেলার গোবরডাঙ্গা গ্রামে এক রাতে পাঁচ বাড়িতে গন চুরির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ চোরেরা ৫ বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে গেছে। বুধবার দিবাগত গভীর রাতে দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গোবরডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ওসমান গনি জুয়েল জানান, রাতে একদল চোর তাদের গ্রামের চারটি বাড়িতে চুরি করে। এরমধ্যে মানসুর রহমানের বাড়ি থেকে একটি স্মাট ফোন, ঠান্ডু বিশ্বাসের বাড়ি থেকে দুইটি স্বণেৃর আংটি ও দুইটি কানের দুল, সেলিম হোসেনের বাড়ি থেকে ৫০০ টাকা, লেন্টু মলি¬কের বাড়ি থেকে একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এছাড়াও হাফিজুর রহমানের বাড়িতে চোরদল হানা দিয়ে বিভিন্ন মালামাল চুরি করে।
১৬ জুন বারবাজার পুলিশ ফাড়ির এক এএসআই উত্তম কুমার পালের মটর সাইকেল চুরি হয় পুলিশের মটর সাইকেল চুরি কে কেন্দ্র করে বারবাজার এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৬ জুন দুপুরে এএসআই উত্তম কুমার তার বাসার সামনে পালসার মটর সাইকেল রেখে ভিতরে যায়। প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে ফিরে এসে দেখে মটর সাইকেল টি চোরে নিয়ে যায়। ৮ জুন শহরের কৃষি অফিস পাড়ার সোহাগ হোসেন বাসায় তালা লাগিয়ে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যায়। বিকালে ফিরেএসে দেখে ঘরের আলমারি ভেঙ্গে নগদ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ৪ ভরি স্বর্ন নিয়ে যায়। এভাবে চোরেরা প্রায়দিন বড় ধরনের চুরি করছে। এতেকরে সাধারন মানুষ চরম আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।