বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের অধীনে ১৬ টি চিনিকলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে প্রায় শতাধিক শুন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদান দারুন ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষাটি সদর দপ্তরের অনুমতি না মেলায় দীর্ঘদিন যাবত এই সমসথ চিনিকলের নিজস্ব সম্পত্তিতে গড়ে উঠা প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যারয় গুলোতে শিক্ষক, শিক্ষিকা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ন রুপে বন্ধ রয়েছে। ফলে বিদ্যালয় গুলোতে অধ্যঅয়নরত ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়া ব্যাহত হওযায় দিনিদিন পরীক্ষার ফলাফল নিমাœগামি হচ্ছে। এ ধরনের মেীখিত অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মুসুদুর রহমান, আইন ও দরকষাকষি সম্পাদক গোলাম রসুল, কলের সভাপতি হারুনুর রশিদ, পাবনা চিনিকলের সাধারন সম্পাদক আশরাফুজ্জামান উজ্জল, ঠাকুরগাও চিনিকলের সভাপতি উজ্জ্বল হোসেন প্রমুখরা।
শিক্ষক কর্মচারী সংকটে জর্জরিত চিনিকল গুলো হলো মোবারকগঞ্জ চিনিকল, দর্শনা কেরু চিনিকল, ফরিদপুর মধুখালি চিনিকল, কুষ্টিয়া চিনিকল, রেনউইক এ- যগেশ^র চিনিকল, রাজশাহি চিনিকল,নাটোর চিনিকল, সেতাবগঞ্জ চিনিকল, রংপুর চিনিকল, পাবনা চিনিকল, ঠাকুরগাও চিনিকল, পঞ্জগড় চিনিকল, জয়পুরহাট চিনিকল, শ্যামপুর চিনিকল, গোপালপুর চিনিকল,বেঙ্গল চিনিকল এবং জিল বাংলা চিনিকল।
নর্থবেঙ্গল চিনিকলের সভাপতি নজরুল ইসলাম এবং চিনিকল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক আণোয়ারুল হক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে, তারা জানায়,প্রত্যেকটি চিনিকল প্রতিষ্ঠালগ্নের পর হতে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি চিনিকলে একটি করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। স্ব স্ব মিলের কর্মকর্তা এবং কর্মচারিদের ছেলে মেয়ে সহ পাশর্^বর্তী এলাকার আখচাষি ও জনসাধারনের সন্তানরা মিল কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে এ সমস্থ বিদ্যালয় গুলোতে তারা লেখাপড়া করে থাকে। এই সমস্থ বিদ্যালয় সমুহের শিক্ষক শিক্ষিকা ও কর্মচারিদের বেতন বোনাস সরকারি নিয়মে চিনি কলের ফান্ড থেকে প্রদানকরা হয়। এসমস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা এবং কর্মচারিরা ইতোমধ্যে অনেকে অবসরে চোলে গেলে ও সদর দপ্তরের অনুমতি না পাওয়ায় ঐ সমস্থ শুন্যু পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না। সংগত কারণে চিনিশিল্পের নামকরা এই সমস্থ বিদ্যালয়ের পিএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল দিনদিন নি¤œগামি হচ্ছে। বিদ্যালয় গুলোর ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিটি চিনিকলের সিবিএ নেতা এবং শিল্পটির শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের দাবি প্রতিটি মিলে জরুরি ভিত্তিতে শুন্যুপদে যোগ্য ও মেধাবি শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক। এছাড়াও অনেক মিলের সিবিএ নেতাদের দাবি চিনিশিল্পের বর্তমান দুরাবস্থায়র কথা চিন্তা করে প্রত্যেকটি মিলের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোকে এমপিও ভুক্তির তালিকা নেবার জন্য জাতির জনক বঙ্গুবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষা ও শিল্প বান্ধব সরকারের আশুনেক নজর কামনা করেছেন।