রাজশাহীর বাঘায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র। এখানে চিকিৎসার জন্য অপারেশান থেকে শুরু করে সব ধরণের যন্ত্রপাতি আছে। অথচ না করা হয় ছোট খাটো অপারেশান, না করা হয় কোন পরিক্ষা-নিরিক্ষা। কারণ এখানে নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক। নেই মেশিন চালানোর জন্য টেকনিশিয়ান। ফলে দীর্ঘ দিন থেকে পড়ে আছে ১৫ লক্ষ টাকার আল্টাসোন মেশিন। অপর দিকে ফ্লিম না থাকায় অকেজ হতে বসেছে এক্্ের মেশিন।
শনিবার (২০ জুলাই) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের সভাকক্ষে রুগীদের মানসম্মত সেবা প্রদান শীর্ষক সেমিনারে এমনটি বক্তব্য উপস্থাপন করেন সভার সভাপতি ও টিএইচএ ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড: লায়েব উদ্দিন লাভলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাঘা পৌরসভার মেয়র আবদুর রাজ্জাক। উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ও শিক্ষক প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
আয়োজিত সভার সভাপতি ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ৫০ শয্য বিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রটি পরিচালনার জন্য ২৭ জন ডাক্তার আবশ্যক। অথচ আছে মাত্র দু’জন। এ কারণে রুগীদের কাংক্ষিত সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। অপর দিকে এক্্ের মেশিন থাকলেও গত দুই মাস ধরে ফ্লিম নেই। একটি মাত্র এ্যাম্বুলেন্স সব সময় উপজেলা থেকে জেলা শহরে রুগী বহনে ব্যস্ত থাকে। এখানে ১৫ লক্ষ টাকা দামের নতুন একটি আল্টাসোন মেশিন থাকলেও টেকনিশিয়ান না থাকায় সেটি প্যাকেট বন্দী হয়ে পড়ে রয়েছে। এখানে ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হলেও প্রভাব খাটিয়ে তারা অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যান। জরুলী বিভাগে রুগী এলে নরমাল রুগীকেও শহরে রেফাট করা হয়। এতে করে মারাতœক বিড়ম্বনা ও হয়রানীর শিকার হতে হয় এ অঞ্চলের রোগীদের। মাঝে মধ্যে দু’একজন ডাক্তারকে এখানে পোস্টিং দেয়া হলেও তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের কোয়াটারে থাকেন না।
আয়োজিত সভার প্রধান অতিথি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কাছে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের ডাক্তার সল্পতার বিষয়ে অবগত করেছেন। খুব শীর্ঘই এর সমাধান হবে বলে তিনি জানান।