রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা ও পেনশনের দাবিতে সারা দেশের ৩২৮টি পৌর কর্মচারীদের ন্যায় কটিয়াদী পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও রয়েছেন আন্দোলনে। সপ্তাহ ব্যাপী তারা ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাদের দাবী আদায়ের লক্ষে অবস্থান করছেন। ফলে পৌর সভার সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
রাতে সড়ক বাতি গুলো জ¦ালানোর কেউ নেই। বাজারের দোকান পাট বন্ধ হলে কটিয়াদী বাজারটি হয়ে উঠে এক ভুতুরে নগরি। বাজার পাহাড়াদারদের টর্চের আলোতে চলে বাজার পাহাড়া। এতে আতঙ্কিত থাকেন বাজারের ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া রাতে চলাচলেও থাকেন ভীত সন্ত্রস্ত।
এদিকে এক সপ্তাহ যাবত ময়লা আবর্জনা পরিস্কার না করায় রাস্তার পাশে স্থানে স্থানে ময়লার স্তুপ আর দূর্গন্ধে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বৃষ্টির পানি আর ময়লা আবর্জনায় রাস্তাঘাটে চলাফেরা খুব কষ্ট দায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
অপর দিকে পৌর সভার সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় হচ্ছে না কোন জন্ম-মৃত্যুর নিবন্ধন, নিতে পারছেন না কোন নাগরিক সনদ, ব্যবসায়ীরা করতে পারছেন না ট্রেড লাইসেন্স। প্রতিদিনই শত শত মানুষ পৌর কার্যালয়ে তালা ঝুলতে দেখে ফিরে যাচ্ছেন। সকল প্রকার নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পৌরবাসী।
রবিবার সরেজমিন দেখা যায় কার্যালয়ে ঝুলছে তালা। সেবা প্রত্যাশীরা বিমুখ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। ৯নং ওয়ার্ডের আবদুল খালেক জানান, নতুন ভোটার তালিকার জন্য জন্মনিবন্ধন প্রয়োজন। চার দিন যাবত ঘুরে যাচ্ছি কিন্তু জন্মনিবন্ধনই করতে পাচ্ছি না, ভোটার হবো কিভাবে?
কটিয়াদী পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ইউনিটের সভাপতি সালাহ উদ্দিন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আমাদের দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ভাষ্যমতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলে আমরা বিবেচনা করবো।