দীর্ঘ ৫ মাস মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং করেছি ভারতের বনগাঁ শহরে অন্যান্য বাঙালী মুক্তিকামী মানুষের সাথে ক্যাম্পে থেকে মানবেতর জীবন যাপন করেছি। অস্ত্র হাতে নিয়ে রাইফেল চালানো শিখেছি। পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠির অনুগত পাক হানাদার মুক্ত একটি সাবাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র দেখার কামনা বাসনা নিয়ে পিতা মাতা,স্ত্রী ,সন্তান এবং আতœীয় স্বজনদের মারায় ত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ক্যামোপ আশ্রয় নিয়েছি। এটা ছিল মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং ক্যাম্পের শেষ ব্যাচের প্রশিক্ষন । এভাবেই বনগাঁ ক্যাম্পে পাচ মাস অতিবাহিত হয়ে গেল। এরই মধ্যে বনগাাঁ বাজারের একটি চায়ের দোকানে রেডিওতে খবর শুনি পাক বাহিনি আতœসমাপন করেছে। তৎকালিন পূর্ব পাকিস্থান বায়লাদেশ হিসাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আনন্দ -উল্লাস করতে করতে অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে সীমান্ত পেরিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখছি। এটাই ছিল আমার মুক্তিযদ্ধ কালীন ৫ মাসের সয়ক্ষিপ্ত ঘটনাবলি। সম্প্রতি স্বস্ত্রীক জানালেন, কালগিঞ্জ পৌরসভার হেলাই গ্রামের মরহুম আনসার আলী মুন্সির বড় জামাতা জাহিদুল ইসলাম । ৫৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি ট্রেনিং প্রাপ্ত এই মুক্তিযোদ্ধা দেশ স্বাধীনের ৪২/৪৩ বছর অতিবাতি হলে ও আজ ও মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়নি। শহিদুল ও তার স্ত্রী শরিফা বেগম জানালেন, অথচ তাদের চোখের সামনে অনেকেই মুক্তিযোদ্ধার ট্রেনিং গ্রহন অথবা মুক্তিযুদ্ধ না করেই মুক্তিযোদ্ধা সেজে সরকালি তালিকায় নাম লিখিয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে মাসিক বেতন ভাতা তুলে খাচ্ছে । দু সন্তানের জনক দিন মজুর শহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শরিফা বেগমের আকুতি একজন ট্রেনিং প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তার নাম তালিকা ভুক্ত করে মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও প্রমাসনের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।