যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী মামলার অন্যতম স্বাক্ষী ও দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার বগুড়ার সান্তাহার প্রতিনিধি মো: হারেজুজ্জামান হারেজ সান্তাহার শহরের মালশন চাতরার পাড় এলাকার বাড়িতে শুক্রবার বিকেলে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। চোরের দল বাড়ির প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে একটি ল্যাপটপ ও আড়াই ভরি ওজনের স্বর্নালংকার, নগদ টাকা সহ প্রায় দেড় লাখ টাকা মুল্যের মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। এ সময় সাংবাদিক হারেজুজ্জামান হারেজ ও তাঁর পরিবারের কোন সদস্য বাড়িতে ছিলেন না। এ ঘটনায় আদমদীঘি থানা ও সান্তাহার টাউন পুলিশ ফাঁড়ি কে অবগত করা হয়েছে।
সান্তাহার পৌর শহরের ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে পাওয়া দৃশ্যে দেখা যায়, বিকেল সাড়ে ৫টায় সময় তিন জন চোর সাংবাদিক হারেজুজ্জামানের বাসার প্রধান ফটকের তালা ভেঙে বাসার ভিতরে প্রবেশ করে। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে তারা চুরির কাজ চালায়। চোরেরা তিনটি ঘরের আলমারির তালা ভেঙে স্বর্নালংকার,নগদ টাকা এবং ড্রয়িং রুমে থাকা একটি ল্যপটপ চুরি করে ব্যাটারী চালিত অটো চার্জার করে পালিয়ে যায়।
সাংবাদিক হারেজুজ্জামান হারেজ বলেন, তিনি বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনের সাবেক বিএনপি দলীয় সাংসদ ও যুদ্ধপরাধ মামলার আসামি আবদুল মোমিন তালুকদার খোকার যুদ্ধপরাধ মামলার একজন স্বাক্ষী। তাঁর কাছে আবদুল মোমিন তালুকদারের যুদ্ধপরাধের বিভিন্ন তথ্য প্রমান ছিল, যা তাঁর চুরি হয়ে যাওয়া ল্যাপটপে সংরক্ষিত ছিল। এটি চুরি হয়ে যাওয়ায় আমার বিশাল ক্ষতি হয়েছে। তিনি ল্যাপটপ উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সহয়তা কামনা করেছেন। অপরদিকে একই দিন দুপুরে সান্তাহার পৌর শহরের রথ বাড়ি মহল্লার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোজ্জামেল হকের বাড়িতে বারান্দার গ্রিল কেটে বাসায় ঢুকে স্টিল আলমারি ভেঙ্গে নগদ ৬৫ হাজার টাকা ও ১৫ ভড়ি স্বর্ন চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। পরপর একই দিন দিনের বেলা দুইটি চুরির ঘটনায় পৌরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে আদমদীঘি থানার ওসি (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক বলেন, চুরির সংবাদ পাওয়ার পর পর দুইটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ছাড়া সাংবাদিক হারেজ এর বাসা চুরির ঘটনায় সিসি ফুটেজ দেখে চোরদের সনাক্ত করা চেষ্টা চলছে।